Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
National News

আডবাণী এখনও নীরবই, টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ কিন্তু গোপন রাখলেন না জোশী

আডবাণীর পর জোশীই হলেন দ্বিতীয় নেতা যাঁকে এ বারের লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের সুযোগই দিল না বিজেপি।

লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী পদে টিকিটই পেলেন না বিজেপি-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুরলীমনোহর জোশী। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী পদে টিকিটই পেলেন না বিজেপি-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুরলীমনোহর জোশী। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ১৩:২৩
Share: Save:

লোকসভার টিকিট না পাওয়ার পর থেকে লালকৃষ্ণ আডবাণী এখনও নীরব। কিন্ত, প্রকাশ্যেই মুখ খুললেন মুরলীমনোহর জোশী। লোকসভা ভোটের টিকিট না পেয়ে মোদী-শাহ জুটির চেষ্টাকে কার্যত ‘বিফল’ করে দিলেন তিনি। ভোটারদের জানিয়ে দিলেন, লোকসভা ভোটে না দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করতে বলা হয়েছিল তাঁকে। তবে মোদীদের সে প্রস্তাবে রাজি হননি জোশী।

গত লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের কানপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জোশী। মঙ্গলবার কানপুরের ভোটারদের উদ্দেশে একটি বার্তায় ৮৫ বছরের জোশী লিখেছেন, “কানপুরের প্রিয় ভোটাররা, বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলাল আজ আমাকে বলেছেন, আমি যেন কানপুর বা অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করি।”

নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ জুটির ‘ইচ্ছানুসারে’ আসন্ন লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের ময়দানেই নামতে পারেননি বিজেপি-র আর এক প্রবীণ নেতা আ়ডবাণী। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে সে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত নিজের নীরবই থেকেছেন তিনি। মোদী-শাহ জুটির বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে সে পথে পা বাড়াননি জোশী। উল্টে, ভোটের লড়াই থেকে ছিটকে গিয়ে সরাসরিই নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের মতো শীর্ষ নেতৃত্বের নাম না করেও স্পষ্ট বলেছেন, ভোটে না দাঁড়াতে বলা হয়েছিল তাঁকে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

উত্তরপ্রদেশের কানপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা মুরলীমনোহর জোশীর। ছবি: সংগৃহীত।

দিন কয়েক আগেই লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো প্রবীণ নেতার কাছেও এই একই প্রস্তাব গিয়েছিল। সে সময় মোদী-শাহের সেই প্রস্তাব বয়ে নিয়ে আ়ডবাণীর কাছে যান বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলাল। এ বারও রামলালই একই প্রস্তাব নিয়ে যান জোশীর কাছে। যাতে জোশী নিজেই উত্তরপ্রদেশের কানপুর বা অন্য কোনও লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে না দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তবে সে প্রস্তাব নাকচ করে দেন বিজেপি-র এই প্রবীণ নেতা।

জোশী ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি, লোকসভা ভোটের ময়দান থেকে যে ভাবে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল, তাতে তিনি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ নন, দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলালকে ভার দেওয়া হয় জোশীকে বোঝাতে, যাতে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কথা নিজেই ঘোষণা করেন জোশী। এর আগে একই ভাবে আডবাণীর কাছে এ রকম বার্তা নিয়ে গিয়েছিলেন রামলাল। আডবাণীর মতোই এ নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ জোশী। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, অন্তত পক্ষে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ নিজে এসে তাঁকে এই বার্তা দিতে পারতেন।

আরও পড়ুন: ‘ওঁর পরিবারের সততা নেই কেন?’ মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

আরও পড়ুন: মোদীর রাজ্যে বেতন চেয়ে চাকরি যায় চৌকিদারের

২০১৪ সালের এ ছবি কি এখন অতীত? —ফাইল চিত্র।

প্রার্থী পদে উপেক্ষা করা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশে ভোটের প্রচারের কাজেও বিবেচনা করা হয়নি জোশীকে। গত লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রটি নরেন্দ্র মোদীর জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন জোশী। তিনি নিজে দাঁড়িয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের কানপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। সেখান থেকেও অবশ্য ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন জোশী। তবে এ বার আডবাণীর মতোই মোদী-শাহ জুটির উপেক্ষার শিকার জোশী। ৭৫ বছরের বেশি বয়সী কোনও নেতাকে এ বারের ভোটে প্রার্থী করা হবে না বলে স্থির করেছেন মোদী-শাহ জুটি। সেই মতো রামলালকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, কলরাজ মিশ্র, শান্তা কুমার, কারিয়া মুণ্ডা, ভুবন চন্দ্র খাণ্ডুরির মতো প্রবীণ নেতাদের প্রস্তাব দিতে, তাঁরা নিজেরাই যাতে ভোটে না লড়ার কথা ঘোষণা করেন। ওই প্রস্তাব মেনে কলরাজ মিশ্র, শান্তা কুমারের মতো নেতারা ঘোষণা করেন যে, তাঁরা ভোটে লড়বেন না। কিন্তু আডবাণী তা করেননি। তবে শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অপছন্দ হলেও নীরব থেকেছেন তিনি। তবে সে পথে গেলেন না জোশী। দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE