মেহবুবা মুফতি। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে উপত্যকার অনন্তনাগ কেন্দ্রে ভাল লড়াই হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিকেরা।
অনন্তনাগ কেন্দ্রের অন্তর্গত এলাকায় জঙ্গিদের প্রভাব বেশি। ফলে ওই কেন্দ্রে ভোট করা নিরাপত্তার দিক থেকে প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক দিক থেকে সেখানে তিন বা চার পক্ষের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন খোদ পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। বিধান পরিষদের সদস্য সোফি ইউসুফকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের মধ্যে জোট নিয়ে কথাবার্তা চললেও তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের খবর, জোট না হলে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি গুলাম আহমেদ মিরকে প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস। ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী হতে পারেন প্রাক্তন বিচারপতি হাসনেন মাসুদি।
সম্প্রতি জোট নিয়ে জম্মুতে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন ফারুক আবদুল্লা ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের শীর্ষ নেতারা। ফারুকের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, অনন্তনাগ ও বারামুলায় আলাদা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী হিলাল আহমেদকে হারিয়ে অনন্তনাগ কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন মেহবুবা। ওই কেন্দ্রে পিডিপি-র শক্তিও বেশি। তবে সম্প্রতি বেশ কয়েক জন প্রবীণ নেতা দল ছাড়ায় ধাক্কা খেয়েছেন মেহবুবা। ওই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ইমরান রাজা আনসারি, আবিদ আনসারি, জাভেদ মুস্তাফা মির, সৈয়দ বশরত বুখারি, পির হাসনেন ও প্রাক্তন মন্ত্রী হাসিব দ্রাবু।
নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অনন্তনাগে তিন দফায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওই কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে অনন্তনাগ, কুলগাম, শোপিয়ান ও পুলওয়ামা জেলা। ২০১৬ সালে জঙ্গি বুরহান ওয়ানির হত্যার পর থেকে কাশ্মীরে হিংসার বড় অংশই হয়েছে এই জেলাগুলিতে। নির্বাচনের সময়েও হিংসার আশঙ্কা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy