Advertisement
E-Paper

মাঠে সনিয়া, ২৩শের পর ডাকলেন আঞ্চলিক দলগুলিকে

কংগ্রেস সূত্রের খবর, এ বার সনিয়ার হয়ে কংগ্রেসের শীর্ষনেতারাই আঞ্চলিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৯ ০২:১৯
ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

নরেন্দ্র মোদী যাতে ফের সরকার গড়তে না-পারেন, তার জন্য এ বার সনিয়া গাঁধী নিজেই মাঠে নামলেন। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ইউপিএ-সভানেত্রী হিসেবে তিনি ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফলের পরেই কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর), নবীন পট্টনায়ক, জগন্মোহন রেড্ডি-র মতো অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি দলের নেতাদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

এত দিন লোকসভা ভোটের ফলের আগে অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসার চেষ্টা করছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মায়াবতী, কেউই ২৩ মে-র ভোটের ফলের আগে বৈঠকে উৎসাহ দেখাননি। এই বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু কলকাতায় গিয়ে মমতার সঙ্গে বৈঠকও করেন। তাঁর যুক্তি ছিল, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও রাষ্ট্রপতি যাতে বৃহত্তম বিরোধী জোটকেই ডাকেন, তার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখা দরকার। কিন্তু মমতা জানিয়ে দেন, ভোটের ফলের পরেই এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, এ বার সনিয়ার হয়ে কংগ্রেসের শীর্ষনেতারাই আঞ্চলিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। যেমন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ নিজে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে মমতার মতোই নবীন, কেসিআর বা জগন্মোহন ওই বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তার সবটাই নির্ভর করছে ভোটের ফলের উপরে। আজ এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘এই সব কথাবার্তা লোকসভা ভোটের সময় হবে না তো, কখন হবে? কংগ্রেস কেন, সকলেই এই বিষয়ে কথাবার্তা বলছেন, আলোচনা করছেন। ভোটের ফলের পরে ২৪ ঘণ্টার একটা প্রক্রিয়া থাকে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর কংগ্রেসকে চালকের আসনে বসতে দিতে রাজি নন। তাঁর ইচ্ছে, সরকার হোক আঞ্চলিক দলগুলির ফ্রন্টের নেতৃত্বে। কংগ্রেস তাকে সমর্থন করুক। এ নিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী, সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়ন, ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করে তেমন সাড়া পাননি।

কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, তেলঙ্গানায় মুসলমান, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। তার জন্য তাঁর পক্ষে সরাসরি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো কঠিন। তা ছাড়া সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গে কেসিআরের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। তাঁর কন্যা কে কবিতার লোকসভা কেন্দ্র নিজামাবাদ থেকে বিক্ষুব্ধ চাষিরা নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে গিয়ে ভোটে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আবার তেলঙ্গানা গঠনের সিদ্ধান্ত হলে কংগ্রেসের সঙ্গে নিজের দলকে মিশিয়ে দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন রাও। কিন্তু তারপরে পিছু হটেন। এখন ফের কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালে তেলঙ্গানায় কংগ্রেসকে জমি ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় একটা পথ দরকার কেসিআরের। এবং সেই দায়বদ্ধতা থেকেই নিজের তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সঙ্গে জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এমআইএম-কে নিয়ে একটি জোট তৈরির চেষ্টা করছেন।

Lok Sabha Election 2019 Sonia Gandhi Congress UPA Narendra Modi BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy