ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রাকে নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁকে ঘিরে আরও সন্দেহ এবং প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চরবৃত্তির অভিযোগ ওঠার পর থেকে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে পেতে তৎপর হয়ে উঠেছে ন’রাজ্যের পুলিশ। সূত্রের খবর, হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গেও এ বিষয়ে যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ পুলিশের পাঁচ জনের একটি দল হরিয়ানায় পৌঁছেছে। আবার ওড়িশা পুলিশও জ্যোতিকে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। ২০২৪ সালে পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন জ্যোতি। অভিযোগ উঠছে, সেই সময় তিনি জগন্নাথ মন্দিরের উপর ড্রোন উড়িয়েছিলেন, যা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে কী ভাবে এবং কেন তিনি ওই সংবেদনশীল জায়গায় ড্রোন ওড়ালেন, এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই হরিয়ানার ইউটিউবারকে জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওড়িশা পুলিশ। সূত্রের খবর অন্তত তেমনই। অন্য দিকে, ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দ্রন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, পুরীর মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য ড্রোনরোধী ব্যবস্থা মোতায়েন করার কাজ শুরু হয়েছে।
গত বছরেরই এপ্রিলে ওড়িশার পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের মহাকালেশ্বর মন্দির দর্শনেও গিয়েছিলেন জ্যোতি। উজ্জয়িনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) নীতেশ ভার্গব সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, পাঁচ সদস্যের পুলিশের একটি দল হরিয়ানায় গিয়েছে। জ্যোতিকে জেরাও করেছে তারা। তবে এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তাঁর কথায়, ‘‘যেহেতু মহাকালেশ্বর একটি সংবেদনশীল জায়গা, প্রচুর পুণ্যার্থী এই মন্দিরে আসেন, তাই জ্যোতি মলহোত্রার মহাকালেশ্বরের ভিডিয়ো দেখার পর তাঁকে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে। তার পরই তাঁকে জেরা করতে পুলিশের দল গিয়েছে হরিয়ানায়।’’
এএসপি আরও জানিয়েছেন, জ্যোতির উজ্জয়িনী ভ্রমণ নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবেই তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। আর কোনও বিষয়ে সন্দেহ থাকলে, বিশেষ করে যেখানে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িয়ে, সে ক্ষেত্রে জেরা করা যেতেই পারে বলে দাবি পুলিশকর্তার।