প্রতীকী ছবি।
ছিল ‘বিড়াল’ হয়ে গেল বাঘ!
ক্ষেতে চাষ করছিলেন এক কৃষক। হঠাৎই তিনি কোনও পশুশাবকের ডাক শুনতে পান। শব্দ অনুসরণ করে তিনি এগোতেই দেখেন দু’টি ‘বিড়ালছানা’ ঠান্ডায় কাঁপছে। বাচ্চা দু’টির হাল দেখে কৃষকের ভারি মায়া হয়েছিল। আগেপিছে না ভেবে বাচ্চা দু’টিকে পরম যত্নে বাড়িতে তুলে নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
বিড়ালছানা ভেবেই কিরণ গিরি নামে ওই কৃষক বাচ্চাগুলিকে খাইয়েদাইয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টায় কোনও কসুর করেননি। তখনও তিনি জানতেন না বিড়ালছানা ভেবে যে বাচ্চাগুলিকে তিনি বাড়িতে নিয়ে এসেছেন, আসলে সেগুলি চিতাবাঘের বাচ্চা! ডাক শুনে তাঁর একটু সন্দেহ হয়। সাধারণত বিড়াল যে ভাবে ডাকে, এই বাচ্চাগুলি তো সে ভাবে ডাকছে না। বরং সেই ডাক গর্জনের মতো শোনাচ্ছিল।
এখানেই সন্দেহ গাঢ় হয় তাঁর। ভাল করে খেয়াল করতেই চমকে ওঠেন কিরণ। এ তো বিড়াল নয়! বাঘের বাচ্চা। আসল বিষয়টি জানতে পেরে আর এক মুহূর্ত দেরি করেননি তিনি। প্রতিবেশীদেরও বিষয়টি জানান। বাচ্চাগুলিকেও দেখান। তাঁরাও জানান, সেগুলি বাঘের বাচ্চা। আর এক মুহূর্ত দেরি করেননি কিরণ। বন দফতরকে খবর দিয়ে বিষয়টি জানান।
এর পরই বন দফতরের কর্মীরা কিরণের বাড়িতে এসে বাচ্চা দু’টিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। কিন্তু বাচ্চা দু’টির শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভাল না থাকায় তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার বাজরিখেড়া গ্রামের।
বন দফতর সূত্রে খবর, এই জেলায় হামেশাই চিতাবাঘ দেখা যায়। অনেক সময় লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তারা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের হাতে মৃত্যুও হয় চিতাবাঘের। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিতাবাঘ রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। ৩ হাজার ৪২১টি চিতাবাঘ রয়েছে এই রাজ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy