নিষিদ্ধ এলাকায় ছবি তুলে ইরানে গ্রেফতার হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের ইঞ্জিনিয়ার। ধৃত ওই যুবকের নাম যোগেশ পাঞ্চাল। প্রায় দু’মাস জেলে বন্দি থাকার পর বাড়ি ফিরলেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপেই অবশেষে জেলমুক্তি হয়েছে বলে দাবি রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ অজিত গোপচারের। গত ৪ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে এসেছেন মহারাষ্ট্রের ওই যুবক। এমনই জানিয়েছেন সাংসদ গোপচারে।
নান্দেড়ের বাসমতের বাসিন্দা পাঞ্চাল। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কাজের সূত্রে ইরানে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘৭ ডিসেম্বর তেহরানে নামি। তার পর আশপাশের জায়গাগুলি ঘুরে দেখছিলাম। অন্যান্য পর্যটকের মতো ছবি তুলছিলাম, ভিডিয়ো করছিলাম। তার পর সেগুলি বাড়িতে পাঠাচ্ছিলাম।’’
পাঞ্চালের দাবি, আশপাশের জায়গাগুলি ঘুরে দেখার পর হোটেলে ফিরে যান তিনি। সন্ধ্যাবেলায় পুলিশ আসে। হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পাঞ্চাল জানিয়েছেন, তখনও বুঝে উঠতে পারেননি তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে। কী অপরাধ করেছেন তিনি। পরে জানানো হয়, নিষিদ্ধ এলাকায় ছবি তোলার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
কী ভাবে জেলে এতগুলি দিন কাটল, তারও বর্ণনা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই যুবক। তাঁর কথায়, ‘‘সব সময় আমার চোখ বাঁধা থাকত। ওঁরা আমাকে স্থানীয় থানায় বন্দি করে রেখেছিলেন।’’ ৫৯ দিন জেলবন্দি ছিলেন পাঞ্চাল। তবে জেলে বন্দি থাকাকালীন কোনও পুলিশকর্মী তাঁর উপর অত্যাচার করেননি বা গায়ে হাতও দেননি। সাংসদ গোপচারে জানিয়েছেন, পাঞ্চালকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে আলোচনার জন্য পরিবারের তরফে আইনজীবী পাঠানো হয় দিল্লিতে ইরানের দূতাবাসে। কিন্তু সেখান থেকে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু যখন বিদেশ মন্ত্রক হস্তক্ষেপ করে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয় ইরান। তার পরই পাঞ্চালকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় তারা।