ধাপে ধাপে তোলা হবে লকডাউন ফাইল চিত্র।
সোমবার থেকে মহারাষ্ট্রে লকডাউনের বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। জানানো হয়েছে, ৫ দফা পরিকল্পনার মাধ্যমে এই লকডাউন তোলা হবে। অর্থাৎ যে জেলায় সংক্রমণের হার যে রকম রয়েছে, সেই ভিত্তিতে ধীরে ধীরে তোলা হবে বিধিনিষেধ।
উদ্ধব ঠাকরের দফতর থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, যে সব জেলায় সংক্রমণের হার ৫ শতাংশর নীচে এবং হাসপাতালের ২৫ শতাংশ বা তার কম শয্যা ভর্তি, সেখানে প্রথম দফায় লকডাউন তোলা হবে। সেখানে গণ পরিবহণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দোকান, রেস্তরাঁ, খেলাধুলো, থিয়েটার, মল, কারখানা, সরকারি ও বেসরকারি অফিস- সব খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
যে সব জেলায় সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ এবং হাসপাতালের ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ শয্যা ভর্তি, সেখানে দ্বিতীয় দফা কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ সেই সব জেলায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে, যাতে কোথাও ৫ জনের বেশি জমায়েত না করতে পারে। থিয়েটার, মল, রেস্তরাঁ, জিম, সেলুন, পার্লার ৫০ শতাংশ কর্মী ও গ্রাহক নিয়ে কাজ করতে পারবে। লোকাল ট্রেন চলবে না। মুম্বই এই দফায় পড়ছে। অর্থাৎ বাণিজ্য নগরীতে এখনও কিছু বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
যে সব জেলায় সংক্রমণের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশ এবং হাসপাতালের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ শয্যা ভর্তি, সেখানে তৃতীয় দফা কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ জরুরি সামগ্রী বিক্রির দোকান বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। বাকি দোকান শুধুমাত্র কাজের দিনে খোলা থাকবে। মল ও থিয়েটার বন্ধ থাকবে। জিম, রেস্তরাঁ, সেলুন শুধুমাত্র কাজের দিনে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। বেসরকারি অফিসও বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে।
যে সব জেলায় সংক্রমণের হার ১০ থেকে ২০ শতাংশ এবং হাসপাতালের ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশ শয্যা ভর্তি, সেখানে চতুর্থ দফা কার্যকর থাকবে। এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জরুরি দ্রব্য বিক্রির দোকান বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিকেল ৫টার পরে রাস্তাঘাটে চলাচল বন্ধ থাকবে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ চলবে। ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
যে সব জেলায় সংক্রমণের হার ২০ শতাংশর বেশি এবং হাসপাতালের ৭৫ শতাংশর বেশি শয্যা ভর্তি, সেখানে পঞ্চম দফা কার্যকর থাকবে। এই ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কোথাও যাতায়াত করতে হলে ই-পাসের প্রয়োজন হবে যাত্রীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy