পাশাপাশি: গাঁধীর সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোহনদাস গাঁধীর সার্ধশতবার্ষিকীকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বছর হিসাবে পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাষ্ট্রপতি ভবনে গাঁধীর সার্ধশতবর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি বৈঠকে দীর্ঘদিন পর মুখোমুখি হলেন নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের অনেকে উপস্থিত না-হলেও, মমতা ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে তাঁর এই পদক্ষেপে কি বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের প্রক্রিয়া লঘু হয়ে গেল না?
মমতা ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়টিকে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক অথবা দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে চাইছেন। তৃণমূল শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য— মুখ্যমন্ত্রী ঘরোয়া ভাবে বলেছেন, গাঁধী স্মরণের মঞ্চে যাওয়ায় বিজেপি-বিরোধী রাজনীতি লঘু হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন না। বিজোপি-বিরোধী জোট গঠনের প্রক্রিয়াও তিনি আগের মতোই চালিয়ে যাবেন। মমতার বক্তব্য, গাঁধীর রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল বাংলা। তিনি নিজে বাংলা লিখতেও পারতেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর দায়িত্ব সেই ঐতিহ্যকে সম্মান দেওয়া এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
আজ প্রায় আড়াই ঘণ্টা এই বৈঠকের পরে মমতা জানিয়েছেন, ‘‘গাঁধীর আদর্শকে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে অনেকে আজ মতামত জানিয়েছেন। আমরা একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছি। পাশাপাশি জানিয়েছি, বছরটিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বছর হিসাবে পালন করা হোক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকে বলেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে গাঁধীজির আদর্শ নিয়ে একটি বিশেষ অধিবেশন করার। রাষ্ট্রপতি নিজে বলেছেন, গাঁধীজির আদর্শ বজায় রাখতে সচেষ্ট হতে হবে। গাঁধীর আদর্শ প্রচার করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীও।’’
রাজ্যের কোনও বিষয় নিয়ে আলাদা করে মোদীর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি বলে দাবি করেছেন মমতা। তবে তার পরেও পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মোদী-মমতা সাক্ষাতের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy