বৃহস্পতিবার, পয়লা ফেব্রুয়ারি সনিয়া গাঁধীর ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, এত কম সময়ের নোটিসে দিল্লি আসতে পারছেন না। তবে ওই বৈঠকে তাঁর দলের দুই সাংসদ, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন উপস্থিত থাকবেন।
অনেকেই বলছেন, সংসদের গত অধিবেশন থেকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে মমতা যে নীতি নিয়ে চলছেন, এই সিদ্ধান্ত তারই পরবর্তী ধাপ। সনিয়ার সঙ্গে মমতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। কিন্তু রাহুল গাঁধী সামনে আসার পর কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রশ্নে কিছুটা পিছু হটেছেন মমতা। রাহুলের নেতৃত্বে বিরোধী মঞ্চে এখনই সামিল না হয়ে নিজের মতো করে বিজেপি-বিরোধিতার কৌশল তৈরি করছেন। বিজেপি-বিরোধী মঞ্চগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। আজই দিল্লিতে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্হার ‘রাষ্ট্রমঞ্চ’-র সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ২০১৯-এর কথা মাথায় রেখে মমতা আসলে বিরোধী রাজনৈতিক পরিসর মেপে নিচ্ছেন। এখনই রাহুলের ছাতার তলায় যেতে নারাজ হলেও গুজরাত বিধানসভা ভোটে রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেসের যে উত্থান হয়েছে, সেই বাস্তবতাকে মাথায় রাখতে হচ্ছে মমতাকে। রাহুলের নেতৃত্বে বিরোধীরা কতটা সংগঠিত হচ্ছেন, সেটাও দেখে নিচ্ছেন তিনি। সে কারণেই সনিয়ার ডাকা বৈঠক বয়কট না করে সুদীপ-ডেরেকের মতো দলের দুই অভিজ্ঞ সাংসদকে সেখানে পাঠাচ্ছেন মমতা।
রাহুলের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটে যাওয়া নিয়ে তৃণমূলে ধন্দ থাকলেও এ দিন এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, ‘‘২০১৯-এ বিজেপিকে হটাতে বিরোধীদের সকলকে এক সঙ্গে আসতে হবে।’’
৯ ফেব্রুয়ারি মমতা-সহ বিরোধী নেতাদের নৈশাহারে ডেকেছেন সনিয়া। কংগ্রেসের আশা, সনিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে সেখানে আসতেও পারেন তৃণমূল নেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy