দুই স্ত্রীর আগেই মৃত্যু হয়েছিল। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছিলেন বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তি। কিন্তু সেই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০০২ সালে স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ ব্যাগে ভরে একটি ফাঁকা বাসে ফেলে দিয়ে এসেছিলেন। সেই ব্যক্তিকেই ২২ বছর পর গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম হনুমান্থাপা। স্ত্রী রেনুকাম্মাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কিন্তু কী ভাবে খুনের পর দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের চোখে ঝুলে দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন হনুন্থাপা? বর্তমানে তাঁর বয়স ৭২। কর্নাটকের কোপ্পল জেলার গঙ্গাবতী শহর থেকেই তাঁকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হনুমান্থাপার যখন ৪৯ বছর বয়স, সেই সময় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, রায়চূড় জেলার হালঢাল গ্রামের বাসিন্দা হনুমান্থাপা। তিনি বাদারলি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জুনিয়র হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ ওঠার পরেই গা ঢাকা দেন হনুমান্থাপা। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও হদিস পাচ্ছিল না পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিভিন্ন রাজ্যে ভুয়ো পরিচয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন হনুমান্থাপা। দিন কয়েক আগেই নিজের গ্রামে ফিরে এসেছিলেন। সেই ঘটনার পর দীর্ঘ ২২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। বয়সের ভারে তাঁর শারীরিক এবং মুখের আদলও বদলেছে। তাই ভেবেছিলেন এ বারও পুলিশের চোখ এড়াতে পারবেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হনুমান্থাপাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।