লঞ্জো গ্রাম থেকে যুবকের মুন্ডু কাটা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, সন্দেহ করতেন স্বামী। তক্কে তক্কে ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। রাগের বশে প্রেমিককে প্রথমে মারধর করেন। তার পর গাছের সঙ্গে বেঁধে কুড়ুল দিয়ে মাথা কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের লঞ্জো গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম বিশ্বনাথ সুন্ডি। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পাশের গ্রামের এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। স্ত্রীর অন্য কোনও সম্পর্ক রয়েছে, সন্দেহ করতেন বিশ্বনাথ। সেই সন্দেহ সত্যি হয়। শুক্রবার বিশ্বনাথের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রেমিক শ্যামলাল হেমব্রম। বাড়িতে ফিরতেই দু’জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পেয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বিশ্বনাথ।
অভিযোগ, এর পরই শ্যামলালকে ঘর থেকে টেনে বার করেন বিশ্বনাথ। তার পর বেধড়ক মারধর করেন। এখানেই থেমে থাকেননি বিশ্বনাথ। কাছেই একটি গাছের সঙ্গে শ্যামলালকে বাঁধেন। তার পর কুড়ুল নিয়ে এসে শ্যামলালের ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করে দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্যামলালের।
খবর পেয়ে শনিবার সকালে লঞ্জো গ্রামে পৌঁছয় সোনুভা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সোহন লাল। বিশ্বনাথকে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়। শ্যামলালের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত কুড়ুলটিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy