পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে কোপানোর পর বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছিলেন যুবক। কিন্তু গ্রামবাসীদের কয়েক জন তাঁকে ধরে ফেলেন। তার পরই শুধু হয় বেদম প্রহার। আর সেই মারের চোটে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয় যুবকের।
ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের নাম ছোটেলাল হাঁসদা। তাঁর স্ত্রী মীনা হাঁসদা। বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। অভিযোগ, তখন ছুরি বার করে আচমকাই স্ত্রীর উপর হামলা চালান ছোটেলাল। একের পর এক কোপ মারেন স্ত্রীকে। চিৎকার করতে থাকেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা বেরিয়ে আসেন। প্রতিবেশীদের দেখে ছোটেলাল বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তার পরই শুরু হয় গণপিটুনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মীনার সঙ্গে ছোটেলালের বিয়ে হয়েছিল আট বছর আগে। দিনকয়েক আগে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন মীনা। বুধবার মীনার সঙ্গে সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলেন ছোটেলাল। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তার পরই মীনাকে ছুরি দিয়ে কোপাতে শুরু করেন ছোটেলাল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মীনার। তার পরই পালানোর চেষ্টা করেন ছোটেলাল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গ্রামবাসীরা ধরে মারধর করেন বলে অভিযোগ। আর তাতেই মৃত্যু হয় ছোটেলালেরও।