উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলায় এক তরুণীকে বিষ খেয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তরুণীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক প্রেমিক।
পশ্চিম শরীরা থানা এলাকার পশ্চিম শরীরা গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে পাশের গ্রামের যুবক শ্যামবাবুর সঙ্গে কয়েক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাঁদের সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারায় তরুণীর বাড়ির লোকেরা তাঁর অন্যত্র বিয়ে স্থির করেন। তরুণী সেই কথা তাঁর প্রেমিককে জানান।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিকাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন শ্যামবাবু। তাঁর কথামতো একটি জায়গায় দু’জনে দেখা করেন। অভিযোগ, এর পরই তরুণীকে শ্যামবাবু বোঝান, তাঁরা একসঙ্গেই মরবেন। শ্যামবাবু বিষ নিয়ে এসেছিলেন। প্রেমিকাকে জানান, এই বিষ খেয়েই একসঙ্গে আত্মহত্যা করবেন। প্রথমে প্রেমিকাকে বিষ খেতে বলেন। কিন্তু শ্যামবাবু বিষ খাওয়া ভান করেন। কিছু ক্ষণ পর তরুণীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করায়, তাঁকে ফেলে রেখে চম্পট দেন শ্যামবাবু। স্থানীয়েরা তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তরুণীর পরিবার শ্যামবাবুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।