প্রায় প্রতি দিন নিজের বাড়িতে খুবই সামান্য পোশাক পরে ঘুরে বেড়ান মহিলা। কিন্তু তাঁর এই গতিবিধি যে দূর থেকে কেউ এক জন নজর রাখছে বা রাখতে পারে সেটা কল্পনাও করতে পারেননি। এক দিন সকালে হঠাৎই মহিলার বাড়িতে এসে এক জন কলিং বেল বাজান। দরজা খুলতেই মহিলা দেখেন তাঁর প্রতিবেশী সামনে দাঁড়িয়ে।
কী প্রয়োজন— সবে জিজ্ঞাসা করতে যাবেন মহিলা, তার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড় তোলেন প্রতিবেশী। অভিযোগটা কী? মহিলাকে প্রতিবেশী বলেন, ‘‘বাড়িতে ঠিক মতো পোশাক পরুন। অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াবেন না। এতে আমার মেয়ের ক্ষতি হচ্ছে!’’
মহিলা জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘এর মানে কী? কী বলতে চাইছেন স্পষ্ট করে বলুন।’’ তখন ওই পড়শি জানান, মহিলা যে স্বল্প পোশাক এবং প্রায় অর্ধনগ্ন হয়ে বাড়িতে ঘোরাফেরা করেন দূরবীন দিয়ে সেটা দেখতে পেয়েছে তাঁর মেয়ে। তাই ওই পোশাক পরা বন্ধ করতে হবে। ঠিক মতো পোশাক পরতে হবে। এ কথা শুনে বেজায় চটে যান মহিলা।
তাঁর প্রশ্ন, নিজের বাড়িতে কী পোশাক পরব, কখন পরব তা কেউ ঠিক করে দিতে পারে কি! রেডিট-এ তিনি লেখেন, ‘সম্প্রতি মধুচন্দ্রিমা সেরে ফিরেছি। ঘুম থেকে উঠে বিকিনি পরে ঘরের মধ্যেই হাঁটাচলা করি। কফি এবং প্রাতরাশ বানাই। সম্প্রতী জানতে পেরেছি পাশের বাড়ি থেকে ছোট্ট একটি মেয়ে দূরবীন দিয়ে আমার গতিবিধির উপর নজর রাখছে। এটা কী করে সম্ভব? আমার বাড়ির প্রতিটি জানলায় পর্দা টাঙানো।’ এর পরই মহিলা সন্দেহ প্রকাশ করেন, দূরবীন দিয়ে কোনও ভাবেই দেখা সম্ভব নয়। জানলার কাছে এসে পর্দা ফাঁক দিয়েই তাঁর উপর নজর রাখা হয়েছিল।