লিভ-ইন সঙ্গীকে একটি ঘরে বন্দি করে রেখে পাশের ঘরেই গলায় দড়ি দিলেন যুবক। বন্দি প্রেমিকা ফোন করে পুলিশে খবর দিলেন বটে, তবে তার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন। যদিও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ায় তরুণীকে প্রাণে বাঁচানো গিয়েছে। যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে অন্য ঘর থেকে।
ঘটনাটি অসমের গুয়াহাটির কাহিলিপাড়া এলাকার কল্যাণীনগরের। সেখানেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন যুগল। নিহতের নাম নভজ্যোতি তালুকদার। তাঁর প্রেমিকা সুস্মিতা দাস গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের হাতের শিরা কেটেছিলেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, যুগলের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। ছোটখাটো বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি হত। প্রায় বছর খানেক ধরে তাঁরা ওই বাড়িতে থাকছিলেন। বুধবার মধ্যরাতের পর তাঁদের বচসা চরমে পৌঁছোয়।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে ঝগড়া করতে করতে প্রেমিকাকে একটি ঘরে বন্দি করে ফেলেন যুবক। অন্য ঘরে তিনি গলায় দড়ি দেন। পাশের ঘর থেকে এর পরেই পুলিশকে ফোন করেন তরুণী। ঘটনার কথা বিস্তারিত জানান। তবে পুলিশ পৌঁছোনোর আগে তিনিও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কেটে ফেলেন নিজের হাত।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তিনি স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের চ্যানেলে কর্মরত। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে গুয়াহাটি পুলিশ। তরুণী কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কী নিয়ে যুগলের মধ্যে এত অশান্তি, সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, জানার চেষ্টা চলছে। তরুণীর বয়ান রেকর্ড করবে পুলিশ।