প্রতীকী ছবি।
ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে নিজেকে আইপিএস অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন দিল্লির যুবক। যুবকের পদমর্যাদার ওজন বুঝে তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখান এক তরুণী। শুরু হয় প্রেমালাপ। আলাপ-পর্বে ওই যুবক নিজেকে একাদিক্রমে সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা, সন্ত্রাস দমন শাখার বিশেষ অধিকর্তা, মায় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দেন। পরে যুবকের কথায় নানা অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় সন্দেহ হয় ওই তরুণীর। যুবকের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লির রোহিনী এলাকার বাসিন্দা ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ময়াঙ্ক কপূর। গত মে মাসে একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের মাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় ৩৮ বছরের ওই ব্যক্তির। এরপরই তিনি একাধিক উচ্চপদে নিযুক্ত বলে দাবি করেন ময়াঙ্ক। তরুণীর কাছে তিনি দাবি করেন যে, বছরে তিনি ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা বেতন পান।
উচ্চপদ এবং উচ্চ বেতনের চাকরি করেন বলে দাবি করলেও ময়াঙ্ক ওই তরুণীর কাছ থেকে কিছু দিন আগেই দেড় লক্ষ টাকা ধার চান। বলেন চাকরি সংক্রান্ত কারণে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি অল্প কয়েকদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁর টাকার প্রয়োজন। কিন্তু পরে ওই তরুণী ময়াঙ্কের আসল পরিচয় জানতে পারলে দেড় লক্ষ টাকা ফেরত চান। তরুণীর অভিযোগ, এরপরই ময়াঙ্ক তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি আত্মীয়স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দেন। হুমকি দেন যে, টাকা চাইলে আরও ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী।
পুলিশ জানিয়েছে, ভুয়ো পরিচয় দিয়ে মহিলাদের কাছ থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ আগেও উঠেছে ময়াঙ্কের বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালে তিনি বিয়ে করেন। কিন্তু তার পরের বছরই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়। ২০১৯ সালে মুম্বইয়ের এক মহিলাকেও একই ভাবে প্রতারিত করেছিলেন তিনি। সে সময় মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy