সাড়া দিল যোগীর পুলিশ। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
মশার কামড়ে কষ্ট পাচ্ছিলেন স্ত্রী। সেই কষ্ট লাঘব করতে পুলিশ ডাকলেন স্বামী। কাকভোরে পুলিশের কাছে তাঁর অনুরোধ— ‘‘আমার স্ত্রী মশার কামড়ে কষ্ট পাচ্ছেন। দয়া করে মশা মারার কয়েল নিয়ে এসে সাহায্য করুন।’’
‘মশা মারতে কামান দাগা’ কথাটি বাংলায় বহুল প্রচলিত। তবে এই ঘটনাটি বাংলার নয়। মশা মারার জন্য পুলিশ ডাকা হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে। গত মঙ্গলবার আসাদ খান নামে এক যুবক একটি টুইট করে ওই সাহায্য চান উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে। আসাদ জানান, তাঁর স্ত্রী সদ্য একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। প্রসবের জন্য তাঁকে উত্তরপ্রদেশের চন্দৌসি এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে এমনিতেই প্রসবপরবর্তী বেদনায় কষ্ট পাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু সেই কষ্ট আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে মশার কামড়।
এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়ে আসাদ লিখেছেন, ‘‘হাসপাতালে আমার স্ত্রীকে অত্যন্ত মশা কামড়াচ্ছে। দয়া করে আমাকে একটি মশা মারার কয়েল দিয়ে সাহায্য করুন।’’ কাকভোরে লেখা সেই টুইট দেখা মাত্রই ব্যবস্থা নেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। হাসপাতালের নিকটস্থ থানাকে বিষয়টি জানানো হয়। সেই থানা থেকেই পুলিশের প্রতিনিধি মশার কয়েল নিয়ে পৌঁছে যান হাসপাতালে, যেখানে ভর্তি রয়েছেন আসাদের স্ত্রী।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনার পর গোটা বিষয়টি এবং আসাদের সঙ্গে তাঁদের টুইট বিনিময়ের স্ক্রিনশট টুইটারে প্রকাশ করে। তবে একই সঙ্গে একটি নতুন স্লোগান বানিয়ে প্রচারেও নেমেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। হিন্দিতে সেই স্লোগানে লেখা— ‘‘মাফিয়া সে মচ্ছর তক কা নিদান।’’ অর্থাৎ ‘মাফিয়া থেকে মশা, সবার ওষুধ... (উত্তরপ্রদেশ পুলিশ)!’’
‘माफिया से लेकर मच्छर तक का निदान’ -
— UP POLICE (@Uppolice) March 20, 2023
नर्सिंग होम में अपने नवजात शिशु और प्रसूता पत्नी को मच्छरों से राहत देने के लिये एक व्यक्ति द्वारा ट्वीट कर मदद की अपील की गयी। #UP112 PRV 3955 ने त्वरित कार्यवाही कर नर्सिंग होम में मॉस्किटो क्वॉइल पहुँचाया।#UPPCares@sambhalpolice pic.twitter.com/WTrK7o8bhY
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy