—প্রতীকী চিত্র।
মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো এবং গণধর্ষণের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হল। অত্যাচারের ভিডিয়ো যিনি তুলেছিলেন, বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক সূত্রের থেকে পাওয়া এই খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ধৃতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গত ৪ মে ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। গণধর্ষণ করা হয় বলেও দাবি। কিছু দিন আগে ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ২৬ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। যিনি ওই ভিডিয়োটি তুলেছিলেন, তাঁকে এ বার গ্রেফতার করা হল। আগে, এই ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্য দিকে, এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় বিচারপ্রক্রিয়া মণিপুরের বাইরে করতে চায় মোদী সরকার।
গত ৩ মে ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয় মণিপুরে। সে দিন রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কুকিদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই সম্প্রদায়েরই বহু মহিলা নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থ বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। এই আবহে ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে শোরগোল পড়ে যায়। ৭৮ দিন মৌনী থাকার পর মণিপুর নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।’’ তবে মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব বিরোধীরা। এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই অচল সংসদের বাদল অধিবেশন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy