Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Tripura Assembly Election 2023

এলেন মোদী-শাহ, থাকল না বাম এবং কংগ্রেস, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় বার শপথ নিলেন মানিক

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ছাড়াও বিজেপির অন্য শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করে সিপিএম এবং কংগ্রেস।

Manik Saha takes oath as Tripura CM for second consecutive term with presence of Narendra Modi

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় বার শপথ নিলেন বিজেপির মানিক সাহা। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
আগরতলা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ ১২:২৭
Share: Save:

দলের তরফে ঘোষণা হয়েছিল আগেই। সেই মতোই বুধবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিলেন মানিক সাহা। আগরতলায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত রইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা এবং বিজেপির শীর্ষস্থানীয় অন্য নেতারা। তবে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বিজেপির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে শপথগ্রহণ বয়কট করল সিপিএম এবং কংগ্রেস।

বিজেপি সূত্রের খবর, বুধবারই মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন ৮ জন বিধায়ক। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি শোচনীয় ফলাফল করলেও তাদের একমাত্র বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় স্থান দিতে চাইছে বিজেপি। এর পাশাপাশি ৩টি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব এখনই কোনও বিধায়ককে দিতে চায় না পদ্মশিবির। বিজেপির একটি অংশের দাবি, তিপ্রা মথা প্রধান প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিক পর্বের আলোচনা ভেস্তে গেলেও ত্রিপুরার শাসকদলের আশা, বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন উপজাতিদের ‘মহারাজা’। সে ক্ষেত্রে ওই ৩টি দফতরের দায়িত্ব যেতে পারে তিপ্রা মথার কাছে।

আসন এবং ভোট শতাংশ কমলেও ৩২টি আসন পেয়ে আরও এক বারের জন্য ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ২০১৮ সালে দীর্ঘ বামশাসনের অবসান ঘটিয়ে আগরতলার কুর্সি দখল করার পর বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি। তবে নানা বিতর্কের মুখে ভোটের কিছু মাস আগে বিপ্লবকে সরিয়ে মানিককে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। বিজেপির একটি সূত্র মারফত দাবি করা হচ্ছিল, দলের সাংসদ, এ বার ধনপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রতিমা ভৌমিককে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে। তবে সোমবার রাজ্যপালের কাছে সরকার গ়ড়ার আবেদন জানানোর পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, আরও একবার মানিকের উপরেই আস্থা রাখতে চলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সাংসদ প্রতিমা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বলেও রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ধনপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।

একদা যুযুধান দুই দল সিপিএম এবং কংগ্রেস এ বার জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়াই করে। সিপিএম পায় ১১টি আসন। কংগ্রেস পায় ৩টি আসন। ১৩টি আসন পেয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয় তিপ্রা মথা। ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের নেপথ্যে বিরোধী ভোট ‘বিভাজন’কেই দুষেছে বাম এবং কংগ্রেস শিবির। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর বিজেপির বিরুদ্ধে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগও করেছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE