ছবি সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। সেই ইস্তক কখনও নিজের দল বিজেপির নীতির সমালোচনায়, কখনও আমলাদের কাজকর্ম নিয়ে মুখ খুলছিলেন গুজরাতের ভরূচের সাংসদ মনসুখভাই ভসাভা। গত কাল বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, বাজেট অধিবেশনে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে লোকসভার সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেবেন তিনি।
দল ছাড়ার চিঠিতে কোনও কারণ জানাননি ছ’বারের সাংসদ। গুজরাত বিজেপির সভাপতি সি আর পাটিলকে লেখা চিঠিতে ৬৩ বছরের ভসাভা বলেছেন, ‘‘মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়। আমার ভুলের জন্য দলের ভাবমূর্তির যাতে ক্ষতি না-হয়, তা ভেবেই ইস্তফা দিলাম। আমি দলের অনুগত কর্মী থেকেছি। আমায় ক্ষমা করুন।’’
সভাপতি পাটিল অবশ্য আত্মবিশ্বাসী যে, ভসাভাকে বুঝিয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে তাঁরা সফল হবেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছু বিষয় নিয়ে ওঁর (ভসাভা) অসন্তোষ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর সঙ্গে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করেছি।’’ জনজাতিভুক্ত মানুষদের অধিকার নিয়ে বহু দিন ধরেই ভসাভা সরব। পাটিল জানিয়েছেন, ভসাভার নির্বাচনী কেন্দ্রে, নর্মদা জেলায় নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলকে ‘পরিবেশ-সংবেদনশীল এলাকা’ বা ইকো-সেনসিটিভ জ়োন হিসেবে ঘোষণা করেছিল পরিবেশ মন্ত্রক। এর মধ্যে পড়ছিল ১২১টি গ্রাম। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন ভসাভা। জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য বা সংরক্ষিত এলাকাগুলির চারপাশের কিছু অঞ্চলকে ‘ইকো সেনসিটিভ জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করে থাকে পরিবেশ মন্ত্রক। এই এলাকাগুলি সুরক্ষা-বলয়ের কাজ করে। কিন্তু তা করতে হলে ‘সংবেদনশীল’ এলাকাগুলিতেও শিল্পায়ন বা খনিজ উত্তোলনের মতো কিছু কিছু কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
পাটিল মনে করছেন, ওই গ্রামগুলিকে সংবেদনশীল এলাকার আওতায় রাখাটাই ভসাভার ক্ষোভের প্রধান কারণ। এ নিয়ে স্থানীয় মানুষদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে বরফ গলবে বলে তিনি আশাবাদী। ২০১৪ সালে জনজাতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন ভসাভা। দু’বছর পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy