ভেঙে পড়া মন্দির চত্বরে চলছে উদ্ধার কাজ। ছবি: পিটিআই।
ভারী বৃষ্টিতে মন্দির ধসে পড়ে অন্তত ৯ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে শিমলায়। সোমবার সকালেই শিমলার সামার হিলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার শিবমন্দিরের একটি অংশ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। মন্দিরের ভিতরে সেই সময় বহু দর্শনার্থীই পুজোর জন্য উপস্থিত ছিলেন। ভেঙে পড়া কংক্রিটের নীচে চাপা পড়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন ওই শিবমন্দিরে অন্তত ৫০ জনের জমায়েত ছিল। পরে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে এই দুঃসংবাদ জানান। তিনি লিখেছেন , ‘‘এখনও পর্যন্ত ৯টি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার কাজও চলছে।’’
গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিমলা। একের পর এক ধসের খবর আসছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে পাল্লা দিয়ে। সোমবার সকালেই হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর দফতর থেকে জানানো হয়েছিল, মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশের সোলানে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে সোলানের জাডোন গ্রামে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করে ছ’জনকে বাঁচানো গেলেও সাত জনের মৃত্যু হয়। এর পরেই সামারহিলে মন্দির ভেঙে পড়ার ঘটনায় হিমাচলে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১।
সোমবার সকালে শিমলার শিবমন্দির ভেঙে পড়ার খবর দিয়ে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন ইতিমধ্যেই সামার হিলে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। পুলিশ এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে।
শুধু সিমলা নয় হিমাচল প্রদেশ জুড়েই বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় নেমেছে ধস। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু রাস্তা। বৃষ্টির জেরে সোমবার অর্থাৎ ১৪ অগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটকও। প্রশাসনের তরফে বিপাশা নদীর ধারে যাওয়ার ব্যাপারে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বৃষ্টি বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশে ঝড়বৃষ্টির এই যন্ত্রণা চলবে ১৭ অগস্ট পর্যন্ত। তবে বৃষ্টি পুরোপুরি থামতে ১৯ অগস্ট হতে পারে বলে অনুমান করেছেন আবহবিদেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy