পড়শি যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মহিলার। পরিবারের অগোচরেই দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কিন্তু তাঁদের মেলামেশা নিয়ে সন্দেহ হয় পড়শিদের। পাড়ায় নানা রকম গুঞ্জন চলতে থাকে। তাঁদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান বধূ। অপহরণের অভিযোগ তোলেন মহিলার স্বামী।
অভিযোগ পেয়ে দু’জনের খোঁজে নামে পুলিশ। দু’জনকে খুঁজে বার করা হয়। মামলাটি আদালতে উঠলে মহিলা দাবি করেন, তিনি স্বামীর সঙ্গেই থাকতে চান। কিন্তু আদালতে এ কথা বললেও বাড়ি ফিরে আবার ওই যুবকের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেন। সোমবার রাতে গোটা গ্রাম যখন দীপাবলির আনন্দে মেতে, সেই সময় ওই বধূ এবং তাঁর প্রেমিক গ্রামের অদূরে একটি জঙ্গলে গিয়ে বিষ খান। দু’জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় দু’জনেরই। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন আরতি এবং ললিত। দু’জনে একই গ্রামের বাসিন্দা। আরতির বিয়ে হয় জগমোহন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু পাড়ার যুবক ললিতের প্রেমে পড়েন আরতি। গত ১০ অক্টোবর তাঁরা দু’জনে পালিয়ে যান। তখন জগমোহন ললিতের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দু’জনকে খুঁজে নিয়ে আসে। আদালতেও পেশ করা হয় দু’জনকে। কিন্তু আরতিকে বাড়িতে ফেরানো হলেও প্রেমিক ললিতের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করতে পারেননি। সোমবার তাঁরা দু’জনেই আত্মঘাতী হন।