সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান অখিলেশ যাদবের কাছে প্রমাণ করার লড়াই, চব্বিশের লোকসভা ভোটের ফল নেহাতই কপালজোরে হয়নি।
যোগী আদিত্যনাথের কাছেও তেমনই বিষয়টি মর্যাদা রক্ষার লড়াই। চব্বিশে যে জনসমর্থন তাঁর দল হারিয়েছে তা ফিরে পাওয়ার চ্যালেঞ্জ।
সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশে সাতাশের বিধানসভা নির্বাচনের আগের এই সেমিফাইনালে ৯টি উপনির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতির বাজার উত্তপ্ত। কংগ্রেস কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় এই ৯টি আসনেই বিজেপি-র সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই এসপি-র। তবে অখিলেশের জন্য বিপদ-সঙ্কেত, প্রত্যেকটি আসনেই লড়ছে মায়াবতীর বিএসপি। যদিও স্থানীয় রাজনৈতিক মহল এবং এসপি সূত্র বলছে, বিজেপি এবং এসপি— উভয়েরই দলিত ভোট ভাগ হবে মায়াবতীর দলের এই উপস্থিতির জন্য।
তবে রাজ্যে যখন সমস্ত দল জোরকদমে প্রচার করছে, তখন প্রচারে অনুপস্থিত মায়াবতী ও তাঁর দলের শীর্ষ নেতারা। একমাত্র রাজ্য সভাপতি বিশ্বনাথ পালকেই দেখা যাচ্ছে সক্রিয় ভাবে মাঠে নেমেছেন। আগামী ২০ নভেম্বর ভোট, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এক জন প্রার্থীর জন্যও জনসভা করতে দেখা যায়নি মায়াবতীকে। তাঁর ভাইপো আকাশ আনন্দ ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সতীশচন্দ্র মিশ্রকেও ভোটবাজারে সক্রিয় ভাবে দেখা যাচ্ছে না। যদিও তাঁরা সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন, তাঁদের প্রার্থীরা কোমর বেঁধে লড়ছেন। দলের তরফে জানানো হয়েছে, বহেনজী (মায়াবতী) ও আকাশ মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের ভোট নিয়ে ব্যস্ত বলে তাঁরা এখানে সময় দিতে পারছেন না। এই অনুপস্থিতি বিজেপি-কে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য কিনা সেই প্রশ্ন উঠছে এসপি শিবিরে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)