এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান ভেঙে পড়ে বৃহস্পতিবার। অহমদাবাদে সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ছেড়ে ওড়ার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ডাক্তারদের একটি হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে। সেই সময় হস্টেলে মধ্যাহ্নভোজ সারছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আরিয়ান রাজপুতও।
সহপাঠীদের সঙ্গে খেতে বসেছিলেন আরিয়ান। সকলের খাবার খাওয়াও হয়ে গিয়েছিল। এক সহপাঠীর হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেন তিনি। তার পর বলেন, ‘‘তোমরা যাও, আমি হাত ধুয়ে আসছি।’’ সহপাঠীরা চলে গেলে আরিয়ান হাত ধুতে যান। আর ঠিক সেই সময়েই বিকট শব্দে হস্টেলের উপর আছড়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে যায়। আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। হস্টেল ছেড়ে অনেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও পারেননি আরিয়ান এবং তাঁর মতোই আরও কয়েক জন ডাক্তারি পড়ুয়া।
আরও পড়ুন:
-
রিকশা চালিয়ে কন্যাকে পড়িয়েছেন বাবা, চাকরি পেয়ে লন্ডনে যাচ্ছিলেন তরুণী! মৃত্যু হল বিমান দুর্ঘটনায়, পরিবারে হাহাকার
-
ছেলের ফোন বেজেই চলেছে! দুর্ঘটনার পর থেকে উত্তরের অপেক্ষায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের কেবিন ক্রু দীপকের মা
-
আত্মীয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিতে লন্ডনে যাচ্ছিলেন, বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু নাগপুরের একই পরিবারের তিন জনের
আরিয়ানের সহপাঠীরা দুর্ঘটনার খবর তাঁর বাড়িতে ফোন করে জানান। সেই খবর পেয়েই মধ্যপ্রদেশ থেকে তাঁর পরিবার রওনা হয় অহমদাবাদের উদ্দেশে। আরিয়ানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। বছর উনিশের আরিয়ান প্রথম চেষ্টাতেই নিট পরীক্ষা পাশ করে ডাক্তারি পড়ছিলেন। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়র থেকে বি জে মেডিক্যাল কলেজে পড়তে আসেন। সেখানেই হস্টেলে থেকে ডাক্তারি পড়ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমানটি ওড়ার পর পরই লোকালয়ের উপর ভেঙে পড়ে অহমদাবাদে। বিমানটি ব্রিটেনে যাচ্ছিল। তার আগেই দুর্ঘটনার শিকার হয়।