পহেলগাম হামলার পরে জম্মু-কাশ্মীরে আটক হওয়া শ’য়ে শ’য়ে বাসিন্দার মুক্তির দাবি জানালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হার সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে জম্মুর কাঠুয়ায় তিন জঙ্গির খোঁজে বড় মাপের তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। পহেলগামে পর্যটকদের উপরে হামলাকারীদের এখনও খোঁজ মেলেনি।
উপরাজ্যপালের কাছে জমা দেওয়া চিঠিতে মেহবুবা বলেন, ‘‘পহেলগামের পরে শ’য়ে শ’য়ে মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে সমাজের দুর্বল শ্রেণির অনেক যুবক রয়েছেন। তাঁদের জন্য স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে স্পষ্ট অভিযোগ ছাড়া তাঁদের আটকে রাখা যায় না।’’ এই প্রস্তাবের প্রতিলিপি মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পাঠিয়েছেন তিনি।
স্থানীয়দের মতে, পহেলগামের পরে কাশ্মীর জুড়ে চার হাজার যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েক জন টাট্টুওয়ালা। বৈসরন উপত্যকা ও তার চারপাশের এলাকা ঘুরিয়ে দেখাতে তাঁদের গাড়িতে চাপিয়ে কয়েক বার নিয়ে গিয়েছিল বাহিনী।
চিঠিতে বন্দিমুক্তির পাশাপাশি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মর্যাদার সঙ্গে উপত্যকায় ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন মুফতি। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিষয়ের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। পণ্ডিতদের ফেরানোকে কেবল প্রতীকী পদক্ষেপ করে রাখলে হবে না। প্রকৃত অর্থে তাঁদের ফেরাতে হলে সমবেদনা, পারস্পরিক বিশ্বাসের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখতে হবে বাস্তব পরিস্থিতিও। মুফতির বক্তব্য, ‘‘কেবল আলোচনা ও সদিচ্ছার সঙ্গে প্রচেষ্টার মাধ্যমেই দীর্ঘমেয়াদি শান্তি আনা সম্ভব।’’
অন্য দিকে কাঠুয়ার হিরানগরে সালাধি এলাকায় তিন জঙ্গির খোঁজে বড় মাপের তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। ওই এলাকার এক বাসিন্দা তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখার পরে অভিযান শুরু হয়। গত মঙ্গলবারও কাঠুয়ায় এই ধরনের তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)