প্রতীকী ছবি।
রাজধানী দিল্লির বুকে প্রথমে দিনদুপুরে শ্যুটআউট। সেখানে এক সঙ্গীকে পুলিশের গুলিতে খুইয়ে একটি ফ্ল্যাটে আশ্রয় নেওয়া গোগা গ্যাংয়ের কুখ্যাত দুষ্কৃতী কুলদীপ ফাজা অবশেষে পুলিশের গুলিতে গুরুতর জখম হয়ে মারা গেল। বৃহস্পতিবার থেকে টানা ৭২ ঘণ্টা দুষ্কৃতী-পুলিশ টানটান লড়াই চলল খাস রাজধানী দিল্লির বুকে। টানা তিন দিনের লড়াইয়ের শেষে অবশ্য জিতল পুলিশই।
ঘটনার শুরু গত ২৫ মার্চ। সে দিন গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল গোটা গ্যাংয়ের অন্যতম দুষ্কৃতী কুলদীপ। সঙ্গে ছিল পুলিশও। এ সময় কুলদীপকে পালাতে সাহায্য করার জন্য সেখানে হাজির হয় তার গ্যাংয়ের কয়েক জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। দিনদুপুরে সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই দু’তরফে গুলি বিনিময় শুরু হয়ে যায়। বহু রোগীর পরিবার প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কে এ-দিক ও-দিক ছোটাছুটি শুরু করে দেন। তার মধ্যেই পুলিশের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে কুলদীপকে নিয়ে পালাতে যায় কয়েক জন। সেই সঙ্গে পুলিশকে ঠেকাতে চলে গুলি। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। ঘটনাস্থলেই কুলদীপের দলের এক সদস্য প্রাণ হারায়। গুলিবিদ্ধ হয় কুলদীপও। এই অবস্থানেই উত্তর-পূর্ব দিল্লির রোহিনীর একটি ফ্ল্যাটে আশ্রয় নেয় সে। টানা তল্লাশি চালিয়ে সেই ফ্ল্যাটের খোঁজ পায় পুলিশ। ফ্ল্যাটটি ঘিরে ফেলে কুলদীপকে আত্মসমর্পণ করতে বলে পুলিশ। কিন্তু সে উল্টে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই অবস্থায় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে গুরুতর জখম হয় কুলদীপ। তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। কুলদীপকে আত্মগোপনে সাহায্য করা তার দুই অনুচরকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তোলাবাজি, অপহরণ করে টাকা আদালয়, সুরক্ষা দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া-সহ একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত গোগা গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য ছিল কুলদীপ। গত বছর মার্চে তাকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ টিম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy