কয়েক সপ্তাহ আগেই ব্রিটেন থেকে ঘুরে গিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। ঝুলিতে পুরে নিয়ে গিয়েছেন মোটা অঙ্কের বাণিজ্য চুক্তি। একই উদ্দেশ্যে আগামী ১২ তারিখ ব্রিটেনে পৌঁছচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
২০১০ সালের পরে এই দুই দেশের মধ্যে নতুন কোনও বাণিজ্য চুক্তি সই হয়নি। গত বছর সেই বাণিজ্যও ১৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। তাই মোদীর এই সফরে নতুন কিছু বাণিজ্য চুক্তি সই করবে দুই দেশ— আশা এমনটাই।
তিন দিনের ঠাসা সফরে ১২ নভেম্বর বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে যাবেন মোদী। রাতে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে। নৈশভোজ সারবেন সেখানেই। পর দিন, ১৩ তারিখ মধ্যাহ্নভোজ সারবেন রানি এলিজাবেথের সঙ্গে, বাকিংহাম প্যালেসে। সেখান থেকে সোজা চলে আসবেন ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। সেখানে প্রায় ৬০ হাজার দর্শকের সামনে বক্তব্য রাখবেন মোদী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো রয়েছেই। মূলত সে দিন বাজি ফাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে চান প্রবাসী ভারতীয়রা। তার পরে ওই স্টেডিয়ামেই হাই কমিশনের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে দেখা করবেন ১ হাজার বিশেষ অতিথির সঙ্গে।
সফরের শেষ দিন, ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে অম্বেডকর হাউসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে দ্বাদশ শতকের এক বিখ্যাত কন্নড় কবি বাসবেশ্বরের মূর্তি উন্মোচনও করবেন। শুধু কবিই নন, বাসবেশ্বর ছিলেন এক জন দার্শনিক এবং সমাজকর্মী। দাসপ্রথা এবং জাতপাতের বিভাজনের বিরুদ্ধে বরাবর লড়াই করেছিলেন তিনি।
সে দিন বিকেলেই জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্কের উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদী।
তবে মোদীর ব্রিটেন সফরের বিরোধিতাও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিহার ভোটের আগে ভারতে অসহিষ্ণুতার মাত্রা ক্রমশ বেড়েছে, এই অভিযোগে প্রতিবাদে নেমেছেন অনেকেই। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ পার্লামেন্ট হাউসের বাইরে বিগ বেনের কাছে একটি প্রোজেক্টরের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে মোদীর ছবি। এক হাতে তলোয়ার, অন্য হাতে ওঁ লেখা ঢাল। তাতে খোদাই করা রয়েছে স্বস্তিক চিহ্নও। সঙ্গে লেখা, ‘মোদী নট ওয়েলকাম’।
ওই প্রতিবাদী সংগঠনের মুখপাত্র জানান, ‘‘ওই ছবিটি মোদী এবং আরএসএস-এর হিটলারি মনোভাবের প্রতীক। বিহারের মানুষ মোদীর হিংসার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই একই বার্তা প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকেও পাবেন তিনি। ১২ এবং ১৩ নভেম্বর বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের।
সম্প্রতি বেশ কয়েক জন বলিউড তারকা এবং ভারতীয় ব্যবসায়ী আইনি পথে কোহিনূরকে ভারতে ফেরানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ পর্বে এই প্রসঙ্গে মোদী কোনও কথা বলবেন কি না, জল্পনা শুরু হয়েছে সেই প্রসঙ্গেও। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রানির সামনে কোহিনূর প্রসঙ্গ তুলবেন না মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy