Advertisement
E-Paper

মোদীর উদ্যোগে ঘরে ঘরে এলইডি, প্রকল্প রূপায়ণে গড়িমসি বাংলার

পুজোয় কলকাতায় আসছে মোদী-আলো। অনেকটা ‘বুড়িমা’ চকলেট বোমা গোছের শোনালেও বিষয়টি কতকটা তাই। গত কয়েক মাসের চেষ্টার পর পুজোর ঠিক মুখে গোটা দেশে সস্তায় ‘এলইডি’ আলো লাগানোর ব্যাপারে মোদী সরকারের প্রকল্পে সায় দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্র চাইছে, পুজো উদ্যোক্তারাও বিভিন্ন মন্ডপে এলইডি আলোই লাগান।

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৫১
কেন্দ্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিপুল বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, কমবে গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন।

কেন্দ্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিপুল বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, কমবে গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন।

পুজোয় কলকাতায় আসছে মোদী-আলো।

অনেকটা ‘বুড়িমা’ চকলেট বোমা গোছের শোনালেও বিষয়টি কতকটা তাই। গত কয়েক মাসের চেষ্টার পর পুজোর ঠিক মুখে গোটা দেশে সস্তায় ‘এলইডি’ আলো লাগানোর ব্যাপারে মোদী সরকারের প্রকল্পে সায় দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্র চাইছে, পুজো উদ্যোক্তারাও বিভিন্ন মন্ডপে এলইডি আলোই লাগান। তাতে বিদ্যুতেরও সাশ্রয় হবে, আলোর তেজও হবে বেশি।

বিষয়টি ঠিক কী?

২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের বিষাক্ত গ্যাসের নির্গমন (এমিশন) ৩৩-৩৫ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবিলম্বে দেশে ৭৭ কোটি বাল্বকে এলইডি-তে বদলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, এই বাল্ব বদলের সুবাদে ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। গ্রামীণ এলাকায় গরিবদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এই প্রকল্প সহায়ক হবে। সে কারণে ‘উজালা’ নামে একটি প্রকল্পও চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সব রাজ্যকেই বলা হচ্ছে, এই প্রকল্পে সামিল হতে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডুর মতো গুটিকয় রাজ্য এত দিন এই প্রকল্পে সাড়া দেয়নি। অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর অবশেষে পুজোর সময় এই প্রকল্প চালু করতে সম্মত হয়েছে রাজ্য।

কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের বিশেষ একটি সূত্রের খবর, কেন্দ্রের এই প্রকল্পের পরিধি অনেক বড়। কিছু দোকান খুলে দেওয়া হবে। সেখানে সস্তায় এই বাল্ব বিক্রি হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় এই আলো বিলি করার প্রস্তাবে এখনও সায় দেয়নি। সেটি হলে রাজ্যের তত্ত্বাবধানে রাস্তাঘাট, নদীর ঘাটে সব বাল্ব বদলে এলইডি করা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘আপনি মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভেই যান বা বারণসীর ঘাট— সর্বত্র এলইডি বালব লাগানো হয়েছে। কম ওয়াটের বালবে আলোও যেমন বেশি দেয়, তেমনই বিদ্যুৎও সাশ্রয় হয়। সাধারণ মানুষ আরও নিরাপদও বোধ করেন রাতে পথঘাটে চলতে।’’

তা হলে পশ্চিমবঙ্গ এখনও সে ব্যবস্থায় রাজি হচ্ছে না কেন? কেন্দ্রের বক্তব্য, এত দিন তো ভোট নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এখন ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে। এর জন্য রাজ্যকে নিজের ভাঁড়ার থেকে একটিও পয়সা দিতে হবে না। এই বাল্ব লাগিয়ে যে সাশ্রয় হবে, সেটাই নেওয়া হবে থোকে বা কিস্তিতে। হিসেব কষে দেখা গিয়েছে, প্রতি এলইডি বালব থেকে গ্রাহকের প্রতি বছরে বিদ্যুতের বিল ১৬০-৪০০ টাকা কম হবে। বাল্বের দাম বাজার দরের থেকে ঢের সস্তা। বাজারে যে বালবের দাম ৩৫০-৪৫০ টাকা, সেটি ৭৫-৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার টিউবলাইটও দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। সেটির বাজারদর ৬০০ টাকার মতো হলে পাওয়া যাবে ২৩০ টাকার মধ্যে। একটি ৬০ ওয়াটের সাধারণ বালবের থেকে ৭ ওয়াটের এলইডি বাল্ব অনেক বেশি উজ্জ্বল। যে কোনও সিএফএল বা অন্য বাল্বের থেকে ৫০-৮০ শতাংশ বেশি টেকসই। এই প্রকল্পের আওতায় দেওয়া বাল্ব তিন বছরের মধ্যে খারাপ হলে বিনামূল্যে বদলেও দেওয়া হবে।

বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ইইএসএল-এর এমডি সৌরভ কুমার বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৎপরতায় এই প্রকল্পে দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। মন্ত্রী পীযূষ গয়ালও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন নিরন্তর। যাতে ২০১৯ সালের মার্চের আগেই দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে যেতে পারে এলইডি আলো।’’

LED Bulbs Convertion to LED Narendra Modi's Dream Project West Bengal Cold Response
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy