একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করার প্রস্তাবে ঐকমত্য তৈরি করতে সব দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী জানান, ‘‘বিষয়টি নিয়ে প্রথমে সব দলের সঙ্গে রাজনাথ সিংহ বৈঠক করবেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসবেন।’’ বিরোধীরা মনে করছেন, গুজরাতে প্রায় ক্ষমতা হাতছাড়া হতে বসার পরে রাজস্থানে তিন আসনে হারে অশনিসঙ্কেত দেখছে বিজেপি। সে কারণে চলতি বছরের শেষেও লোকসভা ভোট করিয়ে নিতে পারে সরকার। বাজেটে যে ভাবে ভোট টানার চেষ্টা হয়েছে, তারপরে এই সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে বিরোধীদের মনে। যে কারণে গত কাল কংগ্রেসের নেতা গুলাম নবি আজাদ দলের সভায় নেতাদের চলতি বছরেই লোকসভার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
চলতি বছরেই লোকসভা ভোট করানোর সম্ভাবনা খারিজ করেননি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তবে অরুণ জেটলির মতো নেতা ঘনিষ্ঠ শিবিরে জানিয়েছেন, সংবিধান সংশোধন করে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট এখনই চালু করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, গোটা প্রক্রিয়াটি করার জন্য সময় লাগবে। সব দলের মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করাও প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিজেপি ইতিমধ্যেই সেই চেষ্টা শুরু করেছে। স্পিকার সুমিত্রা মহাজনও উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ডাকা বৈঠকে যায়নি কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। বিষয়টিতে জোর দিতে সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতাতেও একসঙ্গে ভোটের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কংগ্রেস নেতা চিদম্বরমের মতে, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোয় একসঙ্গে ভোট করা সম্ভব নয়। একসঙ্গে ভোট করানোর ভাবনাটি ভাল। কিন্তু এর বাস্তবায়ন কী ভাবে হবে, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। বিজেপির মতে, আলোচনার মাধ্যমেই সেই প্রশ্নের মীমাংসা হতে পারে। বিরোধীরা এখনও পর্যন্ত আলোচনাই এড়িয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দেশেরই লোকসান করছে তারা। নির্বাচন কমিশন আগে জানিয়েছিল, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চলে আসবে সব ভিভিপ্যাট যন্ত্র। আইন সংশোধন হলে কমিশনও তারপর একসঙ্গে সব ভোট করাতে প্রস্তুত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy