ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা এনডিআরএফের। ছবি: পিটিআই।
এখনও বহু এলাকা জলমগ্ন। ত্রাণ পৌঁছচ্ছে না অনেক জায়গাতেই। খাবার, পানীয় জল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতেই আবার নতুন করে বৃষ্টির আশঙ্কায় আতঙ্ক বাড়ছে চেন্নাইয়ে।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম চলে গিয়েছে তিন দিন হল। কিন্তু তার জেরে তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চল এবং চেন্নাইয়ে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বহু এলাকায়। অনেক জায়গা জলের এখনও নীচে। এই দুর্যোগে ইতিমধ্যেই ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় জল নামলেও বেশির ভাগ এলাকাই এখনও জলমগ্ন। তার মধ্যে বেশ কিছু বাড়ি থেকে দেহও উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে এক জনের দেহ উদ্ধার করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন কেরলে এবং তিন তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কারাইকল এবং লক্ষদ্বীপে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। নীলগিরি অঞ্চল এবং কোয়ম্বত্তূরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়াও ভারী বৃষ্টি হতে পারে তিরুপুর, দিন্দিগুল, থেনি, বিরুধুনগর, শিবগঙ্গা, পুদুকোট্টাই, তাঞ্জাভুরেও। শুক্র এবং শনিবার তামিলনাড়ু এবং কেরলে বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ফলে আরও বৃষ্টির আশঙ্কায় ত্রস্ত চেন্নাইবাসী।
চেন্নাইয়ের পিল্লিকারানাই, থোরাইপক্কম, পেরুমবক্কম এবং ভেলাচেরির বহু এলাকা এখনও জলের তলায়। বৃহস্পতিবার ৭০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানো হলেও এখনও বহু বাসিন্দা জলবন্দি। তাঁদের দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন। জমা জল না নামায় এবং সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এখনও স্কুল-কলেজগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। টানা পাঁচ দিন ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy