বিহারে ভোটারতালিকার নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) ফর্ম গ্রহণ প্রক্রিয়া শুক্রবার শেষ করল নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট ১১টি নথির ভিত্তিতে গত জুন মাসে ভোটার তালিকায় নতুন করে নাম তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ কোটি ২৩ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে।
এসআইআর নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বলা ভাল, আপাতত জাতীয় রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে এই প্রক্রিয়াকে ঘিরেই। বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধ ভাবে কমিশনের ভূমিকা, এসআইআর-এর প্রক্রিয়া নিয়ে সরব। ভোটারতালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার সংখ্যা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভোটারতালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার সংখ্যা ছিল ৫৬ লক্ষ। কমিশনের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছে, শুক্রবার তা বেড়ে হয়েছে ৬৪ লক্ষ। যদিও এ ব্যাপারে কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলা হয়নি।
বুথ থেকে জেলাস্তর— এসআইআর সম্পন্ন করতে বিহারে গত এক মাস ধরে কাজ করেছেন প্রায় ৮০ হাজার সরকারি কর্মচারী। আগামী ১ অগস্ট প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তার পর সেই তালিকার স্ক্রুটিনি হবে। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে বিহার বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে নতুন ভোটারতালিকা প্রকাশ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন:
২০০৩ সালে বিহারে শেষ বার এসআইআর হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, বাদ পড়া ৫৬ লক্ষ ভোটারের মধ্যে সাড়ে ২১ লক্ষ মৃত এবং ৩১ লক্ষ অন্যত্র চলে গিয়েছেন। দেড় লক্ষ এমন নামের সন্ধান মিলেছে, যাঁদের একটির বেশি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার হিসাবে নাম রয়েছে। শুক্রবার তা আরও বেড়েছে বলে খবর। তবে ১ অগস্টই স্পষ্ট হবে, প্রাথমিক তালিকায় ঠিক কত লোকের নাম বাদ পড়ল।