Advertisement
E-Paper

মন্দিরের উৎসবে ঘর খুলে দিল মসজিদ ও গির্জা

আট্টুকাল পোঙ্গল উৎসবকে তুলনা করা হয় উত্তর ভারতের কুম্ভ মেলার সঙ্গে। একে বলা হয় ‘মহিলাদের শবরীমালা’। মূলত মহিলারাই যোগ দেন। আর যোগ দিতে পারে ১২ বছরের কম বয়সি ছেলেরা।

চড়া রোদে পোঙ্গল রান্না।

চড়া রোদে পোঙ্গল রান্না। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ০৮:০৩
Share
Save

মতের-পথের যত বিভিন্নতা, সব এক হয়ে গেল আন্তরিকতায়।

বৃহস্পতিবার কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমে আট্টুকাল ভগবতী মন্দিরে পোঙ্গল উৎসব হয়েছে। এসেছিলেন লক্ষ লক্ষ মহিলা। এলাকায় তিল ধারণের জায়গা মেলাও ভার! এরই মধ্যে স্থানীয় মসজিদ এবং গির্জা এগিয়ে আসে। মন্দিরে পুজো দিতে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য মানাক্কাদ জুমা মসজিদের গাড়ি রাখার জায়গা খুলে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি চালকদের বিশ্রাম নেওয়ার বন্দোবস্ত, ভক্তদের জন্য পানীয় জল, মহিলাদের আলাদা শৌচাগার— সব ব্যবস্থা করা হয়েছে মসজিদের তরফে। এমনকি, উৎসবের দিনগুলিতে মন্দিরে ভিড় সামলানোর জন্য মোতায়েন পুলিশকর্মীদের কথা ভেবে মসজিদের একটি ঘর খুলে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের পুণ্যার্থীদের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা, জল এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা করেছে সেন্ট স্টিফেন্স মেট্রোপলিটান ক্যাথিড্রালও। ভেল্লয়ম্বলম সেন্ট টেরেজ়া অব লিজ়িয়োর স্বেচ্ছাসেবকেরা পুণ্যার্থী মহিলাদের ঘোল পরিবেশন করছেন।

আট্টুকাল পোঙ্গল উৎসবকে তুলনা করা হয় উত্তর ভারতের কুম্ভ মেলার সঙ্গে। একে বলা হয় ‘মহিলাদের শবরীমালা’। মূলত মহিলারাই যোগ দেন। আর যোগ দিতে পারে ১২ বছরের কম বয়সি ছেলেরা। কেরলের নানা প্রান্ত তো বটেই, ভিন্ রাজ্য, এমনকি বিদেশ থেকেও প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। দশ দিনের উৎসবের শেষ দিনে চড়া রোদে মাটির বা ধাতুর পাত্রে চাল, গুড় ও নারকেল কোরা দিয়ে পোঙ্গল রান্না করে, সেই নৈবেদ্য উৎসর্গ করা হয় আট্টুকাল দেবীর উদ্দেশে। প্রাচীন তামিল মহাকাব্য চিলপ্পদিকরমের সঙ্গে এই উৎসবের সূত্র জড়িয়ে রয়েছে।

পোঙ্গল উৎসবে আসা মহিলাদের জন্য এমন আয়োজন গত বছরও করেছিল সেন্ট স্টিফেন্স মেট্রোপলিটন ক্যাথিড্রাল। মানাক্কাদ জুমা মসজিদের এক প্রতিনিধি জানান, প্রতি বছরই তাঁরা এই রকমের ব্যবস্থাপনা করে থাকেন। এ বার রমজানের সময়ে পোঙ্গল উৎসবটি পড়েছে। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই প্রতিনিধির খেদ, রোজা চলায় তাঁরা দিনের বেলা ভক্তদের জন্য খাবারের আয়োজন করতে পারেননি। অবশ্য, পোঙ্গলের আগের বিকেলে ইফতারের সময় মন্দিরের ভক্তদের জন্যও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।


(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Pongal Kerala

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}