ডিএমকে সাংসদ এসআর পার্থিবন। ছবি: ফেসবুক।
সংসদে হাজির থাকা তো দূরের কথা, বৃহস্পতিবার তিনি দিল্লিতেই ছিলেন না। অথচ, লোকসভায় হট্টগোল করার অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যে ১৪ জন বিরোধী সাংসদকে বৃহস্পতিবার লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার, তিনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ভুল বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি রাতেই সাসপেন্ডের সেই নির্দেশ বাতিল করা হল। ভুল শুধরে নিলেন স্পিকার ওম বিড়লা।
কথা হচ্ছে ডিএমকে সাংসদ এসআর পার্থিবনকে নিয়ে। তিনি বৃহস্পতিবার লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন না। এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই সাংসদ দিল্লিতেই ছিলেন না। অথচ, লোকসভা থেকে হট্টগোলের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে এই ভুল বুঝতে পারেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, ভুল করে ১৩ জন সাংসদের সঙ্গে পার্থিবনের নামটিও তালিকাভুক্ত করা হয়ে গিয়েছিল। পরে তা শুধরেও নেওয়া হয়েছে।
সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘ওঁর পরিচয় চিনতে ভুল হয়েছিল। আমি স্পিকারকে অনুরোধ করেছি, সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকা থেকে ওঁর নামটি যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। স্পিকার আমার প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন।’’
পার্থিবনের শাস্তি বাতিল হওয়ায় লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের সংখ্যা কমে হল ১৩। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভা থেকে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংসদে এক দিনে শাস্তি পেলেন মোট ১৪ জন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ উঠেছে। শীতকালীন অধিবেশনে আর তাঁরা যোগ দিতে পারবেন না।
বুধবার দুপুরে লোকসভার কক্ষে অধিবেশন চলাকালীন ঢুকে পড়েন দুই যুবক। তাঁদের কাছে ছিল রং বোমা। বেঞ্চ থেকে বেঞ্চে লাফিয়ে তাঁরা হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন চারদিকে। সাংসদেরা তাঁদের ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেন। একই অভিযোগে সংসদের বাইরে থেকেও গ্রেফতার করা হয় আরও দু’জনকে। সংসদ ভবনের এমন নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বুধবারের ঘটনার পর। সে বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েই বৃহস্পতিবার সংসদের উভয়কক্ষে হট্টগোল হয়। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যেরা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। তার পরেই লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয় ১৪ জনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy