Advertisement
E-Paper

‘অসুস্থ পথকুকুরের জন্য রক্ত চাই’, মুম্বইয়ের কাছে আর্জি রতন টাটার

টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান যে পশুপ্রেমী, তা কারও অজানা নয়। বিশেষ করে কুকুরের প্রতি তাঁর ভালবাসা সকলেরই জানা। মাঝেমধ্যেই কুকুরদের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ১২:২৯
(বাঁ দিকে) অসুস্থ সেই পথকুকুর। এই কুকুরের জন্য রক্তের আর্জি জানিয়েছেন রতন টাটা।

(বাঁ দিকে) অসুস্থ সেই পথকুকুর। এই কুকুরের জন্য রক্তের আর্জি জানিয়েছেন রতন টাটা। ছবি: সংগৃহীত।

এক পথকুকুরের জন্য রক্ত চেয়ে মুম্বইবাসীর কাছে আর্জি জানালেন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান রতন টাটা। অসুস্থ পথকুকুরটিকে সাহায্যের জন্য সমাজমাধ্যমে তিনি একটি পোস্টও করেছেন। টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সেখানে লিখেছেন, “মুম্বইবাসী, আপনাদের সহযোগিতা চাই।” তার পর ইনস্টাগ্রামে সেই পথকুকুরের ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, কুকুরটির বয়স সাত মাস। সে জ্বর এবং অ্যানিমিয়ায় ভুগছে। কুকুরটির অবস্থা সঙ্কটজনক। তাকে উদ্ধার করে মুম্বইয়ের একটি পশু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অসুস্থ কুকুরটির রক্তের খুব প্রয়োজন। তাই সেই প্রাণীটির সুস্থতা কামনা করে জরুরি ভিত্তিতে রক্তের আবেদন জানিয়েছেন রতন।

টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান যে পশুপ্রেমী, তা কারও অজানা নয়। বিশেষ করে কুকুরের প্রতি তাঁর ভালবাসা সকলেরই জানা। মাঝেমধ্যেই কুকুরদের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। ২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁর টুইট করা একটি ছবি সকলের হৃদয় জিতে নিয়েছিল। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছিল, এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল বৃষ্টিভেজা একটি পথকুকুরকে নিজের ছাতার তলায় আশ্রয় দিয়েছেন। বৃষ্টির জল থেকে নিজেদের বাঁচাতে আড়াল ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই ছবি ভাইরাল হয়। পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি টাটা সংস্থার একজন কর্মী।

ছবির সঙ্গে একটি লাল রঙের হৃদয় ‘ইমোজি’ দিয়ে রতন লিখেছিলেন, “এই বর্ষায় আরাম ভাগাভাগি। তাজ হোটেলের এই কর্মী বেশ সহৃদয়। তাঁর ছাতাটি এক ভিজে যাওয়া পথকুকুরের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। ব্যস্ত মুম্বইয়ের একটি হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্ত। এমন দরদ পথের প্রাণীগুলিকে অনেক দূরে এগিয়ে দিতে পারে।”

একবার এক মহিলা সাংবাদিক টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন। অফিসের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। সে সময়ই তার নজরে আসে রতন টাটার পাশের চেয়ারে একটি কুকুর বসে রয়েছে। সাংবাদিককে ভিতরে আসতে বলা হল। কিন্তু কুকুরে তাঁর ভীষণ ভয়। আর টাটার পাশে বসে থাকা সেই কুকুরও আগন্তুককে দেখে একটু সচকিত হয়ে উঠেছিল। রতনের চেয়ারম্যান শান্তনুকে ডেকে নিজের ভয়ের কথা জানিয়েছিলেন সাংবাদিক। কোনও ভাবে সেই কথাটা কানে গিয়েছিল রতনের। সাংবাদিকের কথা শুনে মৃদু হেসে পাশে বসা কুকুরটিকে বলেন, “গোয়া, উনি তোমাকে দেখে ভয় পাচ্ছেন। একদম ভাল ছেলের মতো চুপ করে বসে থাকবে!”

Ratan Tata Stray Dog
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy