Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
national herald

National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা: রাহুলকে তিন দিনে ৩০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! ফের তলব শুক্রবার

সনিয়া এবং রাহুলকে ক্লিনচিট দিয়ে ২০১৫-য় ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত বন্ধের সুপারিশ করেছিলেন ইডির তৎকালীন যুগ্ম অধিকর্তা রাজন কাটোচ।

ইডি দফতরে রাহুল গাঁধী।

ইডি দফতরে রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২২ ২২:০৪
Share: Save:

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকে তিন দিন ধরে দফায় দফায় প্রায় ৩০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেও খুশি নয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এক দিনের বিরতি দিয়ে চতুর্থ দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তরফে তলব করা হয়েছে বলে সরকারের একটি সূত্রের খবর।

ওই সূত্র জানাচ্ছে, রাহুলকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার দিল্লির এপিজে আব্দুল কালাম রোডে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার দু দফায় প্রায় সাড়ে ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব।

যদিও ইডির একটি সূত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ নয়, বেশি সময়টাই চলে যাচ্ছে রাহুলের আগের দেওয়া বয়ান সংশোধনে। ওই সূত্রের দাবি, রাহুলের আগের যে বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে বর্তমান বয়ানের অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে সাত বছর আগে এই ন্যাশনাল হেরাল্ড-কাণ্ডেই সনিয়া গাঁধী এবং রাহুলকে ক্লিনচিট দিয়ে মামলা বন্ধের সুপারিশ করেছিল ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’। সংস্থার তৎকালীন যুগ্ম-অধিকর্তা রাজন কাটোচ অর্থ মন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। কিন্তু সেই মামলাতেই চতুর্থ বার রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল। কংগ্রেসের পাশাপাশি একাধিক বিরোধী দলের তরফে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দাবি তোলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দফায় দফায় ৮ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির কাছ থেকে ‘সন্তোষজনক জবাব’ মেলেনি বলে ইডির একটি সূত্রে জানানো হয়েছে। তাই তাঁকে ফের বুধবার ডাকা হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। বেলা সাড়ে ৩টে থেকে সাড়ে ৪ পর্যন্ত বিরতির পর রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ। প্রসঙ্গত, এর আগে সোমবার দু’দফায় ন’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রাহুলকে।

সোমবার ও মঙ্গলবারের অশান্তির জেরে বুধবারও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন হয় ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে। জারি হয় ১৪৪ ধারা। কিন্তু তাতে ঝামেলা এড়ানো যায়নি। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সদর দফতরে ঢুকে লাঠি চালানো এবং কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের আটক করা হয় বলে অভিযোগ। তারই মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বোন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ইডির দফতরে পৌঁছন রাহুল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE