২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের পর প্রথম বার রাজ্যসভার ভোট হল জম্মু-কাশ্মীরে। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট চারটি রাজ্যসভার আসন রয়েছে। তার মধ্যে তিন আসনই দখলে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-র দখলে। একটি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি।
এনসি-র হয়ে জিতেছেন চৌধরি মহম্মদ রামজ়ান, সজ্জদ কিচলু, গুরবিন্দর সিংহ ওবেরয়। চতুর্থ আসনে জিতেছেন বিজেপির সত শর্মা। এই আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। একেবারে শেষ রাউন্ডের গণনায় বিজেপি প্রার্থীর জয় স্পষ্ট হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আসনগুলি খালি পড়ে ছিল। এনসি প্রধান তথা ওমরের বাবা ফারুক আবদুল্লা একতরফা ভাবে তিনটি ‘নিরাপদ’ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা পরে কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাত বাধে। চতুর্থ আসনটি কংগ্রেসের জন্য ছেড়েছিলেন ফারুক-ওমর। কিন্তু পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসেবে ওই আসনে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল বিজেপি সুবিধাজনক অবস্থায় থাকায় কংগ্রেস লড়তে রাজি হয়নি।
এর পর চতুর্থ আসনেও প্রার্থী দিয়ে দেয় এনসি। রাজ্যসভা ভোটে দুই সহযোগীর টানাপড়েনের প্রভাব পড়েছে নাগ্রোটা বিধানসভা কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচনেও। বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্র সিংহ রানার (সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের ভাই) মৃত্যুতে খালি হওয়া ওই আসনেও না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। ফলে বিজেপিকে ঠেকাতে ‘পদ্মশিবিরের শক্ত ঘাঁটি’তে লড়তে হচ্ছে এনসি-কে।
অসমর্থিত সূত্রের দাবি, চতুর্থ আসনটিতে বিজেপিকে হারাতে বুধবার রাতে বিরোধী দল পিপল্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র প্রধান মেহবুবা মুফতিকে ফোন করেছিলেন ফারুক। তার পরেই ভোটদানে বিরত থাকার পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত বদলে এনসি প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ৯০ সদস্যের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ৪১ জন বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপির ২৮ জন, কংগ্রেসের ছ’জন, পিডিপির তিন জন, ছোট দল এবং নির্দল ১৩ জন। দু’টি আসন, বদগাম এবং নাগ্রোটা বর্তমানে খালি রয়েছে।