রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে বৃক্ক বিকল হয়ে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল বা এনসিডিসি)। কাশির ‘বিষাক্ত’ সিরাপ খাওয়ার ফলেই ওই শিশুদের বৃক্ক বিকল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার জেরে এ বার দুই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং অন্য জায়গা থেকে ওষুধ এবং জলের নমুনা সংগ্রহ করছে এনসি়ডিসি।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দরা জেলায় ছয় শিশুর বৃক্ক বিকল হয়ে মৃত্যু হয়। রাজস্থানের সিকার জেলাতেও বৃক্ক বিকল হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়। প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই ওই শিশুদের কাশির সিরাপ খাওয়ানো হয়েছিল। তার জেরেই দানা বাঁধে বিতর্ক। ওই কাশির সিরাপ খাওয়ার ফলেই শিশুদের বৃক্ক বিকল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। দুই রাজ্যের প্রশাসনই পৃথক ভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নির্দিষ্ট কিছু কাশির সিরাপ বিতরণের উপরেও আপাতত নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।
এই বিতর্কের মাঝে এ বার ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করল এনসিডিসি। আধিকারিক সূত্রে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এনসিডিসি-র প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ওই ওষুধগুলি থেকে কোনও সংক্রামক রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে কি না, তা যাচাই করতে নমুনাগুলি পরীক্ষা করা হবে। এর পরে সেই রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ওষুধ নিয়ামক কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর। বস্তুত, দুই রাজ্য প্রশাসনও ইতিমধ্যে ওই ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি প্রশাসন।
আরও পড়ুন:
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, রাজস্থান মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশন (আরএমএসসিএল)-এর তরফে মোট ১৯টি ব্যাচের সিরাপ বিক্রি এবং ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পাশাপাশি অভিভাবক, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।