—প্রতীকী চিত্র।
পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন তরুণী। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথম বারে সুযোগ পাননি। দ্বিতীয় বার পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি চলছিল। তার আগেই আত্মঘাতী হলেন।
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর কল্লাকুরিচী এলাকার। সেখানকার বাসিন্দা ভৈরবী নামের তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার চাপ তিনি সহ্য করতে পারেননি বলে অভিযোগ। ওই পরীক্ষা সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে এই মৃত্যু।
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির কাউকে না জানিয়ে কীটনাশক খেয়েছিলেন তরুণী। তিন দিন পরে তিনি মারা গিয়েছেন। এই তিন দিনেও কীটনাশক খাওয়ার কথা তিনি কাউকে জানাননি। আচমকা সংজ্ঞা হারালে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যেরা। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় এবং কীটনাশকের কথা জানতে পারেন সকলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার জন্য নিয়মিত কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন তরুণী। কিন্তু তিনি এই পড়াশোনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। বাবা, মায়ের সঙ্গেও সে বিষয়ে কথা বলেছিলেন। অভিভাবকেরা তাঁকে মন দিয়ে পড়াশোনা করা এবং আরও পরিশ্রম করার বিষয়ে উৎসাহ দেন। মৃতের ভাই বলেন, ‘‘দিদি এমবিবিএস করতে চাইত। কিন্তু পরীক্ষা দিলেও সুযোগ পায়নি। পড়া বুঝতে পারছে না বলে অভিযোগ করত। কম নম্বর পাওয়ার ভয় পেত।’’ এর পরেই চরম সিদ্ধান্ত নেন তরুণী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy