Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
planet

Ladakh: দেড়শো মিটার দূরত্বে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারত এবং চিনা সেনা, দেখাল নয়া উপগ্রহ চিত্র

ফেব্রুয়ারি থেকেই ওই এলাকায় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন) শুরু হয়েছিল।

প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে ফেব্রিুয়ারির গোড়ায় সেনা অবস্থান।

প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে ফেব্রিুয়ারির গোড়ায় সেনা অবস্থান। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ১৮:৪৬
Share: Save:

কোথাও দু’পক্ষের মধ্যে দূরত্ব দেড়শো মিটার। কোথাও আরও একটু কম। ফেব্রুয়ারির গোড়ায় লাদাখের প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে এ ভাবেই মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারতীয় এবং চিনা ফৌজ। ১১ ফেব্রুয়ারি তোলা একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, রেজং লা এলাকায় দুই সেনার মুখোমুখি অবস্থান। প্রায় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় দু’পক্ষের তাঁবু এবং বাঙ্কার দেখা যাচ্ছে ওই উপগ্রহচিত্রে।

সেনা ও কূটনৈতিক স্তরের আলোচনার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ওই এলাকায় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তার আগে পূর্ব লাদাখে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাং লা ছিল ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণে। উপগ্রহ চিত্রে ভারতীয় ফৌজের জলপাই সবুজ তাঁবুগুলিও দেখা গিয়েছে স্পষ্ট ভাবে।

এক সেনা আধিকারিক বলেছেন, ‘‘ওই অঞ্চলে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কোনও কোনও গিরিশিয়ায় মাত্র ৫০ মিটার দূরে ছিল দুই বাহিনীর অবস্থান। ছিল হাল্কা ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি এবং কামানও।’ যদিও উপগ্রহ চিত্রে তা দেখা যায়নি।

গত বছর মে মাসের গোড়ায় গালওয়ান উপত্যকা, ডেপসাং, গোগরা, হট স্প্রিংয়ের পাশাপাশি প্যাংগং লেকের উত্তরে বেশ কিছু ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়েছিল চিনা সেনা। সেখানে এলএসি-র সীমানা নির্দেশক ফিঙ্গার এরিয়া-৮ থেকে কয়েক কিলোমিটার ঢুকে ফিঙ্গার এরিয়া-৪-এ চলে আসে তারা। ১৫ জুন গালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে আলোচনার প্রেক্ষিতে ‘বাফার এরিয়া’ তৈরি করতে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও তারা এলএসি থেকে পুরোপুরি পিছু হটেনি। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব লাদাখের গোটা ছ’য়েক এলাকা চিহ্নিত করে পাল্টা আক্রমণাত্মক অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ভারতীয় সেনা।

ওই সূত্রের খবর, পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরে বেছে নেওয়া হয় প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণের উঁচু এলাকাগুলিকে। অগস্টের গোড়ায় পানাগড়ের মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর (১৭ নম্বর কোর), স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স এবং লাদাখ স্কাউট ‘অপারেশন’ শুরু করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিসে শুরু হওয়া অভিযানে থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরের হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত বিস্তৃত কয়েক কিলোমিটার এলাকার উঁচু জায়গাগুলি ভারতের নিয়ন্ত্রণে আসে। চিনা ফৌজ দু’বার ঝটিতি অভিযান চালিয়ে এলাকার দখল নিতে ব্যর্থ হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE