আবার অভিযানে এনআইএ। —প্রতীকী চিত্র।
উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আচমকা অভিযানে কেন্দ্রীয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সূত্রের খবর, একই সঙ্গে অন্তত ৫০টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছেন গোয়েন্দারা। উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে ঘাঁটি করা অপরাধী এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের খোঁজ চলছে।মঙ্গলবার অভিযান চলেছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি ইত্যাদি রাজ্যে অপরাধের সংখ্যা ঠেকাতে হঠাৎ হঠাৎ অভিযান চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, পাচারচক্র এবং মাদক কারবার ঠেকাতে সীমানা বরাবরও অভিযান হচ্ছে বলে খবর। কয়েকটি জায়গায় রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে তল্লাশি হচ্ছে। সূত্র মারফত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এই অভিযানগুলিতে কত জনকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত কয়েক মাসে বিশেষ বিশেষ কিছু অপরাধের মামলার প্রেক্ষিতে বেশ কিছু সূত্র হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কোনও কোনও মামলায় বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনেরও হাত রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তার পর অভিযান হয়েছে ফরিদকোট, মগা, অমৃতসর, গুরুগ্রাম, যমুনানগর ইত্যাদি জায়গায়।
এনআইয়ের এক পদস্থ কর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানান, কিছু দুষ্কৃতীচক্র কেবল আঞ্চলিক স্তরে সীমাবদ্ধ নেই। এদের লক্ষ্য অনেক বড় কোনও হামলা ঘটানো। ওই গোয়েন্দা এ-ও বলেন, ‘‘ভারত থেকে পালানো বেশ কয়েক জন ‘গ্যাংস্টার’ এখন পাকিস্তান, কানাডা, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশ থেকে ছক কষছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্তদের খোঁজে নেমেছে এনআইএ।’’
সম্প্রতি কুখ্যাত দুষ্কৃতী নীরজ বাওয়ানা এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। দেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায় উপরের দিকে থাকা নীরজ এবং লরেন্সের নাম জড়িয়েছে পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার খুনের মূল ষড়যন্ত্রী হিসাবে। নীরজকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তার পর দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। গত ১০ বছর ধরে হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশে একের পর এক অপরাধের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তার। এই সব দুষ্কৃতী দলের কোমর ভাঙতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy