ক্রমশ স্পর্শপ্রবণতা বাড়ছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনডিএ সরকারের অন্যতম জোট শরিক নীতীশ কুমারের। তবে তাঁর এই ‘প্রবণতা’ শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য— এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এর আগে পুরনো সংসদের সেন্ট্রাল হলে এনডিএ-র বৈঠকের সময়ে মোদীর পদযুগলস্পর্শের ঝুঁকেছিলেন নীতীশ। মোদী তাঁকে নিরস্ত করেন। কিন্তু আজ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধনের মঞ্চে পাশে বসা নীতীশকে নিরস্ত করার সুযোগই পাননি মোদী। বরং দৃশ্যতই তিনি কিছুটা হতচকিত হয়ে যান, যখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী খপ করে তাঁর হাতের ধরে ফেলেন। মোদী চমকে উঠে পাশে তাকাতে না তাকাতেই নিজের কোলের কাছে মোদীর হাত টেনে নেন নীতীশ! পরে ভিডিয়োয় দেখা যায়, মোদীর পিছনেই বসা দু’জন এসপিজি কম্যান্ডোর মুখ তখন কঠোর।
প্রধানমন্ত্রীর তো বটেই, মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যের শরীর প্রকাশ্যে বিনা কারণে স্পর্শ করার দৃশ্য বিরল। তাই আজকের এই ঘটনা ভিডিয়োবন্দি হয়ে উত্তাল করেছে নেটিজেনদের। রাজনীতির মশলাও কুড়িয়েছেন বিরোধীপক্ষ। ভাল করে ভিডিয়োটি দেখলে অবশ্য বোঝা যাচ্ছে, নীতীশ দেখতে চাইছিলেন মোদীর আঙুলে ভোটের কালি এখনও লেগে রয়েছে কি না। তারপর তিনি নিজের আঙুলের সঙ্গে তুলনামূলক বিচারও করেন, স্মিত হাসি মুখে রেখে। কিন্তু একটি সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের তুলনামূলক পরীক্ষা কেন করতে হবে, তার কারণ স্পষ্ট হয়নি।
কংগ্রেস নেতা পবন খেরা এই ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, “গুরুজনরা বলেন, কারও সঙ্গে করমর্দন করার পর উচিত, তাঁর আঙুলগুলো গুনে নেওয়া।” জাতীয় রাজনীতিতে ‘পাল্টুরাম’ বলে অভিহিত নীতীশ এনডিএ সরকারকে সমর্থন দিয়েছেন মোদীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে। বিনিময়ে তিনি বিহারের বিশেষ মর্যাদা, বিভিন্ন উন্নয়নের খাতে মোটা অঙ্কের কেন্দ্রীয় অর্থ গুনে গেঁথে নেবেন। খেরা সেই ইঙ্গিতই দিতে চাইলেন বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি অমেঠী থেকে জেতা কংগ্রেসের কিশোরীলাল শর্মার তরফে একই ভিডিয়ো পোস্ট করে বলা হয়েছে, “নীতীশ কুমার নিশ্চিত হচ্ছিলেন তিনি জীববিজ্ঞানজাত!” প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের আগে মোদী দাবি করেছিলেন, তিনি পরমাত্মার সন্তান।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)