বেঙ্গালুরুর বিরোধী বৈঠকে রাহুল গান্ধী (ছবিতে বাঁ দিকে)-র সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ছবি: পিটিআই।
বিজেপি বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ রাখা নিয়ে আপত্তি ছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। এই বিষয়ে নাকি নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল বাম দলগুলিও। বিরোধী জোটের একটি সূত্র মারফত এই খবর মিলেছে। আপত্তির কারণ হিসাবে যা জানা গিয়েছে, তা হল ইন্ডিয়া নামের ইংরেজি দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং পঞ্চম অক্ষরে ‘এনডিএ’-র উজ্জ্বল উপস্থিতিকে ভাল ভাবে নেননি নীতীশ। যদিও ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ জোটের ‘ইন্ডিয়া’ নামকে সাদরেই গ্রহণ করেছেন তিনি। নয়া নাম নিয়ে খানিক অস্বস্তি ছিল সিপিআই এবং সিপিএমেরও। উল্লেখ্য যে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটটির নাম এনডিএ (জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা), এই কিছু দিন আগে পর্যন্তও যার শরিক ছিল নীতীশের দল জেডিইউ।
পরে যদিও বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ বলেন, “ঠিক আছে, আপনারা যদি সবাই এতে (ইন্ডিয়া নামে) রাজি থাকেন, তা হলে ঠিকই আছে। বিরোধী জোটের একটি সূত্রের তরফে জানা যায়, ইন্ডিয়া নামকে প্রথমেই সমর্থন জানান রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উদ্ধব ঠাকরে। তাঁরা বৈঠকে উপস্থিত বাকি দলগুলিকে এই বিষয়ে মতামত দিতে বলেন। মঙ্গলবার বিরোধী জোটের নতুন নাম সামনে আসে। ভারতের নামেই রাখা হয় নয়া বিরোধী জোটের নাম—‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়ান্স)। বৈঠক শেষে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে নয়া জোটের নাম ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, বৈঠক শেষের আগেই তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের একটি টুইটেই নাম বদলের ইঙ্গিত মিলেছিল। তিনি লিখেছিলেন, ‘চক্ দে! ইন্ডিয়া’।
বিজেপি অবশ্য বিরোধী জোটের এই নামকে কটাক্ষ করে বলছে, বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ আসলে ‘ভারত’-এর বিরুদ্ধে। বিজেপির এই আক্রমণকে আগাম আঁচ করেই বিরোধী জোটের ট্যাগলাইনে রাখা হয়েছে ‘ভারত’ শব্দটিও। সেখানে বলা হচ্ছে ‘জিতেগা ভারত’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy