দিল্লির মেয়র নির্বাচনের স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। ফাইল চিত্র।
আম আদমি পার্টি (আপ) এবং বিজেপির কাউন্সিলরদের সংঘাতের জেরে তিন বার ভেস্তে গিয়েছে দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে নয়া মেয়র বেছে নিতে বৃহস্পতিবার ফের দিল্লি পুরসভার অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার মেয়র নির্বাচনের চতুর্থ দফার উদ্যোগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, শুক্রবার আপের মেয়র পদপ্রার্থী শেলি ওবেরের মামলার শুনানির পরেই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা যাবে। পাশাপাশি, ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের নেত্রীর তরফে পেশ করা যুক্তির সারবত্তা রয়েছে বলেও শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা দিল্লির নির্বাচিত সরকারকে উপেক্ষা করে একতরফা ভাবে ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করে মেয়র নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার দিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তকেই শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন আপের মেয়র পদপ্রার্থী শেলি। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মনোনীত সদস্য়দের ভোটাধিকার থাকা উচিত নয়।
এর আগে প্রথমে ৬ জানুয়ারি, ২৪ জানুয়ারি এবং ৬ ফেব্রুয়ারি তিন বার প্রবল গন্ডগোলের জেরে দিল্লিতে মেয়র নির্বাচনের প্রক্রিয়া ভেস্তে গিয়েছে। ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতেছিল কেজরীওয়ালের আপ। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেমে আসে ১০৪-এ। ৯টি ওয়ার্ডে জেতেন কংগ্রেস প্রার্থীরা।
তবে দিল্লির মেয়র নির্বাচনে সেখানকার রাজ্যসভার ৩ জন ও লোকসভার ৭ জন সাংসদ এবং ১৪ জন বিধায়কেরও ভোটাধিকার রয়েছে। যার অর্থ, মোট ২৭৪টি ভোটের মধ্যে যে দল ১৩৮টি ভোট পাবে, সেই দলের প্রার্থীই মেয়র পদে জয়ী হবেন। অঙ্কের হিসাবে জয় অসম্ভব হলেও পদ্ম শিবির মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ায় নতুন করে অশান্তি তৈরি হয় দিল্লিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy