বাংলার ট্যাবলো কেন ঠাঁই পেল না প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল তথা রাজ্য সরকার। সে প্রশ্নের জবাব কেন্দ্রের তরফে থেকে তখন দেওয়া হয়নি। কিন্তু রবিবার নয়াদিল্লির রাজপথে হওয়া কুচকাওয়াজে বাংলার জন্য ছিল চমক। সেখানে কেন্দ্রের তরফেই আয়োজন করা হল বাঙালি সংস্কৃতির প্রদর্শনী।
এ দিন গুজরাতের ট্যাবলো প্রদর্শনী শেষ হলে গঢ়বা পরিবেশন করেন সেখানকার নৃত্যশিল্পীরা। তার পরেই রাজস্থানের ট্যাবলো যাওয়ার কথা ছিল। তার মাঝখানেই হঠাৎ রবীন্দ্র সঙ্গীত বেজে ওঠে। বাউল ও সুফি বেশে ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি’র তালে নৃত্য পরিবেশন করে একদল ছেলেমেয়ে। বাংলার তরফে এ দিন কোও প্রতিনিধি পাঠানো হয়নি রাজপথে। স্থানীয় একটি সংগঠনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারই এই আয়োজন করে বলে জানা গিয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে এ বছর রাজপথে ১৬টি রাজ্য এবং ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ট্যাবলো প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রতিরক্ষা সচিবকে চিঠিও দেওয়া হয়। এত কিছুর পরেও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বাংলার ট্যাবলোকে বাদই রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্রের রাজপথে এ বার সুজাতা, সীমা, তানিয়াদের রাজ
আরও পড়ুন: ১০ মিনিটে পর পর চারটে জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল অসম
তাই কেন্দ্রের তরফে বাংলাকে নিয়ে এই আয়োজন নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের দাবি, ২০২১-এর নির্বাচনে বাংলা দখলই উদ্দেশ্য বিজেপির। এই অবস্থায় বাংলার মানুষকে চটালে তৃণমূল সুবিধা পেয়ে যেতে পারত। তাই ভেবেচিন্তেই এমন সিদ্ধান্ত নেন দলীয় নেতৃত্ব।