জাকিয়া জাফরির মামলা খারিজের সমালোচনা করলেন নোয়াম চমস্কিরা। প্রতীকী চিত্র।
এ বার জাকিয়া জাফরির দায়ের করা মামলা খারিজের সমালোচনায় মুখর হল আন্তর্জাতিক মহল। গোধরা পরবর্তী গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ডে নিহত হন সাংসদ এহসান জাফরি। তাঁর স্ত্রী জাকিয়ার দায়ের করা মামলা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। এ নিয়ে বিবৃতি দিলেন হাউস অব লর্ডসের প্রতিনিধি নোয়াম চমস্কি, ভিখু পারেখ, উইন্ডি ব্রাউন, শেলড পোলকের মতো বিশিষ্টরা। তাঁদের দাবি, শীর্ষ আদালতের এই রায়ের এই প্রভাব মানবাধিকারের উপরেও পড়বে। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টকে এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন চমস্কিরা।
গোধরার ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা হয়েছিল, তা খারিজ করে সিটের তদন্তকেই যে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তা নিয়ে ‘আপত্তি’ করেছেন চমস্কিরা। তাঁদের মতে, জাফরির আবেদন খারিজ করার সময় যে যুক্তি সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, তা এক প্রকার ‘অন্যায়’। আবেদনকারীর বক্তব্য শোনার অপেক্ষাই করেনি শীর্ষ আদালত। এর ফলস্বরূপ তিস্তা শেতলওয়াড়দের গ্রেফতার করেছে প্রশাসন। বিবৃতিতে এই বিশিষ্টরা লিখেছেন, ‘এর পর দেশবাসী আদালতের কাছে বিচার চাইতে গেলে তো দু’বার ভাববে!’
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা ঘটনায় স্বামী এহসানকে হারিয়েছিলেন জাকিয়া। এহসান কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। এহসান-সহ গুলবার্গ সোসাইটির সেই হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারান ৬৯ জন। গুজরাতের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা ঘটনায় মুখ ফিরিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ করেন জাকিয়া। যদিও সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ তদন্তকারী দল মোদী ও বেশ কয়েক জন আমলাকে ওই মামলায় ক্লিন চিট দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এত দিন নিম্ন আদালতে লড়াই চালিয়েছেন জাকিয়া। তার পরে গুজরাত হাই কোর্ট পর্যন্ত গেলেও গত বছর তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ৮০ বছরের জকিয়া। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। সম্প্রতি এ নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হয়েছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy