ওড়িশায় নাবালিকার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গণধর্ষণ এবং ডাকাতির অভিযোগে পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। তাঁদের ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশার কন্ধমাল জেলার এক আদালত। আসামিদের প্রত্যেকের ২৬ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় ১৬ মাস আগে। গত বছরের এপ্রিল মাসের এক রাতে মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে পিস্তল এবং ছুরি নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন পাঁচ অভিযুক্ত। তাঁরা বাড়ি থেকে একটি সোনার গয়না এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করেন বলে অভিযোগ। তার পরে ওই নাবালিকাকে টানতে টানতে বাড়ি থেকে বার করে নিকটবর্তী একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যান তাঁরা। অভিযোগ, সেখানেই ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। পরে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর রুজু করে পুলিশ। অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই ওড়িশার দারিংবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। নাবালিকা নির্যাতনের পরে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেককেই পাকড়াও করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
তার পরে ওড়িশার কন্ধমাল জেলার ফুলবনির এক ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মামলায় মোট ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। শেষে অভিযুক্তদের পাঁচ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। মামলার সরকারি আইনজীবী বনমালী বেহরা জানিয়েছেন, আসামিদের বয়স ২৪-৪৭ বছরের মধ্যে। তাঁদের কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে, নির্যাতিতাকে ৬ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিতে হবে।