অক্টোবরে কোনও ধর্মস্থান খোলা যাবে না ওড়িশায়। আনলক ৫ পর্বেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিনেমাহল এবং ধর্মীয় স্থান না খোলার সিদ্ধান্ত শুক্রবার জানিয়ে দিল নবীন পট্টনায়েক সরকার। ধর্মস্থানের মধ্যে কি পুরীর মন্দির পড়ছে? এ দিন প্রকাশিত রাজ্য সরকারের গাইডলাইনে পুরীর মন্দির নিয়ে আলাদা করে কিছু বলা হয়নি। তবে সব ধর্মীয় স্থানই বন্ধ থাকার কথা বলায় পুরীর মন্দির নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পুজোর সময় ভক্তদের জন্য খোলা থাকবে না পুরীর মন্দিরের দরজা। প্রসঙ্গত, অধুনা পশ্চিমবঙ্গে জগন্নাথদেবের ভক্তসংখ্যা ক্রমবর্ধমান। শেষপর্যন্ত পুজোর সময় পুরীর মন্দির খোলা না থাকলে তাঁরা নিঃসন্দেহে মুষড়ে পড়বেন।
করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার ওড়িশার প্রধান উৎসব পুরীর রথযাত্রায় ভক্তরা যোগ দিতে পারেননি। শুধুই পরম্পরা বজায় রাখতে একেবারে শেষ মুহূর্তে শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেখানে ভক্ত সমাগম হয়নি। এবার পুজোর ছুটিতেও পুরী ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করতে হতে পারে পুণ্যার্থীদের।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বরই জানা যায়, পুরীর মন্দিরের ৪০৪ জন সেবায়েতের মধ্যে ৩৫১ জনই করোনা আক্রান্ত। রুটিন পরীক্ষায় ৫৩ জন মন্দির কর্মীর রিপোর্টও পজিটিভ আসে।