Advertisement
E-Paper

পুরী পদপিষ্টকাণ্ডের পাঁচ মাস! অভিযুক্ত সাত পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের নির্দেশ ওড়িশা সরকারের

তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে, ভিড় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশকর্তা অজয়কুমার এবং বিষ্ণুপ্রসাদ পদপিষ্টকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। অথচ রথের কাছে ভিড় সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁদের।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৩
পুরীর রথযাত্রা।

পুরীর রথযাত্রা। — ফাইল চিত্র।

চলতি বছরের ২৯ জুন, রথযাত্রার দিন পুরীতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। জখম হয়েছিলেন অন্তত ২০ জন। প্রায় পাঁচ মাস পর এ বার ওই ঘটনায় সাত পুলিশকর্তা এবং একটি বেসরকারি প্রযুক্তি সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল ওড়িশা সরকার। তদন্তকারীদের দাবি, ওই সাত কর্তার বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে, যার জেরেই সে দিন দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ডিজিপিকে লেখা সাম্প্রতিক এক চিঠিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত সচিব দাবি করেছেন, ২৯ জুন রথযাত্রার সময় পুরীর গুণ্ডিচা মন্দিরের কাছে পদপিষ্টের ঘটনায় রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অনু গর্গের তদন্তের সুপারিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে। গত ৩১ জুলাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন অনু। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোরাপুটের ওএসএপি (তৃতীয় ব্যাটালিয়ন)-র কমান্ড্যান্ট অজয়কুমার পাধি, ভুবনেশ্বর-কটকের ডিসিপি (সদর) বিষ্ণুপ্রসাদ পতি, এসএসএমএসভি পুরীর কমান্ড্যান্ট তাপসরঞ্জন দাস, ডেপুটি কমান্ড্যান্ট কেকে নায়ক, পুরীর ডিএসপি (শহর) প্রশান্তকুমার সাহু, কুম্ভরাপাদা থানার আইআইসি সুশান্ত কুমার সাহু এবং ছত্রপুরের ওএসএপি (৮ম ব্যাটালিয়ন)-র কমান্ড্যান্ট সারদাপ্রসাদ দাশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে, ভিড় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশকর্তা অজয়কুমার এবং বিষ্ণুপ্রসাদ পদপিষ্টকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। অথচ রথের কাছে ভিড় সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সাত পুলিশকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করা হয়েছে। পাশাপাশি, তদন্তে পুরীর ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার (আইসিসিসি)-র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক নজরদারি ব্যবস্থাতেও গুরুতর ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, অনুমোদিত ২৭৫টি সিসিটিভি ক্যামেরার মধ্যে ঘটনার সময় চালু ছিল মাত্র ১২৩টি। আইসিসিসি-র সংশ্লিষ্ট ভেন্ডরের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

puri Stampede Odisha Mohan Charan Majhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy