১০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিলেন সহকর্মীর কাছে। দিতে রাজি না হওয়ায় ওই সহকর্মীকে খুন করে খামারবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক ফেলে দিলেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লি শহরতলি এলাকায়। রবিবার ওই খামারবাড়ি থেকে ৪২ বছর বয়সি সীতারামের দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যে তাঁর সহকর্মী চন্দ্রপ্রকাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রায় ১০ বছর ধরে ওই খামারবাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন সীতারাম। চন্দ্রপ্রকাশ ছিলেন ওই খামারবাড়ির গাড়িচালক। শনিবার সকাল থেকে সীতারামের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। সেই মতো পুলিশের একটি দল সীতারামের খোঁজ শুরু করে। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) অঙ্কিত চৌহান জানান, শেষে ওই খামারবাড়িরই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, মোবাইলের তথ্য এবং খামারবাড়ির অন্য কর্মীদেরও বয়ান সংগ্রহ করা হয়। ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রতিনিধিদলও। খামারবাড়ির অন্য কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়েই পুলিশের নজরে আসে গাড়িচালক সেখানে অনুপস্থিত। তাতেই প্রথম সন্দেহ যায় চন্দ্রপ্রকাশের দিকে। পরে তল্লাশি চালিয়ে দিল্লির পালম এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশি জেরায় ইতিমধ্যে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন চন্দ্রপ্রকাশ। দিল্লি ডিসিপি (দক্ষিণ) জানান, ধৃত স্বীকার করেছেন যে সীতারামের থেকে তিনি ১০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিলেন। কিন্তু সীতারাম ওই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি বেধে যায়। ওই সময় চন্দ্রপ্রকাশ একটি হাতুড়ি দিয়ে সীতারামের মাথায় আঘাত করেন। তাতেই মৃত্যু হয় সীতারামের। পরে তথ্যপ্রমাণ লুকানোর জন্য দেহটি খামারবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান এলাকা থেকে। চন্দ্রপ্রকাশের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে খুনে ব্যবহৃত হাতুড়িটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।