প্রতীকী ছবি।
এক পাটি চটি। আর সেই চটিই ধরিয়ে দিল খুনিকে। সেই সূত্র ধরেই সপ্তাহ দু’য়েক আগের খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ।
ঘটনাটি পুণের। গত ২২ অক্টোবর এক মহিলা তাঁর ছেলের নিখোঁজ ডায়েরি করেন পুলিশে। ২১ অক্টোবর থেকেই তাঁর ছেলে নিখোঁজ ছিলেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের এটা একটা অপহরণের ঘটনা বলে মনে হয়েছিল। আরও বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা ধরে তদন্ত এগনোর চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু পোক্ত কোনও সূত্র হাতে না আসায় তদন্ত ধাক্কা খাচ্ছিল।
ওই ব্যক্তির পরিচিত, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে এক এক করে কথা বলা শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে তাঁরা জানতে পারেন ওই ব্যক্তির সঙ্গে এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই সূত্র ধরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মহিলার বাড়ি পৌঁছে তদন্ত শুরু করতেই পুলিশের নজরে আসে উঠোনের এক কোনায় পড়ে থাকা এক পাটি চটি।
সেই চটি সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। পরীক্ষা করে জানা যায় মহিলার বাড়িতে পাওয়া ওই চটি নিখোঁজ ব্যক্তির। এখানেই তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। এ বার অপহরণের ঘটনা মোড় নেয় অন্য দিকে। মহিলা ও তাঁর স্বামীকে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ।
জেরায় পুলিশ জানতে পারে ২১ অক্টোবর রাতে নিখোঁজ ব্যক্তির মোবাইল থেকে ওই মহিলার কাছে দু’টি মিসড কল আসে। মহিলার স্বামীর নজরে পড়ে সেটি। ওই দিন রাতেই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে আসেন ওই ব্যক্তি। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন মহিলার স্বামী এবং তাঁর দুই সঙ্গী।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি মহিলার বাড়িতে ঢুকতেই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিন জন। তার পর তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। খুনের প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই ব্যক্তির দেহ নিজের মদের ভাটিতে নিয়ে যান মহিলার স্বামী এবং তাঁর সঙ্গীরা। সেখানে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন মৃতদেহ। তার পর দেহাবশেষ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। খুন হওয়া ব্যক্তির এক পাটি চটিই খুনিকে ধরিয়ে দিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy